অভিযোগের আঙুল মোদি ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার দিকে

গাট্টুই জোর করেছিল অঙ্কিতাকে বিছানায় তোলার জন্য। গাট্টুর বিছানাতেই অঙ্কিতাকে তুলে দিতে মরিয়া ছিল হোটেল মালিকের ছেলে।

Must read

দেরাদুন : পায়ের তলায় জমি খুঁজে না পেয়ে বাংলা নিয়ে কুৎসা করতে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। অথচ তাদেরই শাসনে উত্তরাখণ্ডে যৌন কেলেঙ্কারি এবং খুনের ঘটনায় সরাসরি আঙুল উঠেছে মোদির বিশেষ স্নেহভাজন প্রথম সারির বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। কিছুতেই আড়াল করা গেল না সেই কুকীর্তি। ২০২২ সালের চাঞ্চল্যকর অঙ্কিতা ভাণ্ডারী হত্যাকাণ্ড নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। উত্তরাখণ্ডের এই নৃশংস খুনের মামলায় এ বার সরাসরি নাম জড়িয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দুষ্মন্ত কুমার গৌতমের। তিনি নাকি আবার মোদির বিশেষ আশীর্বাদধন্য। সরাসরি অভিযোগ উঠেছে দুষ্মন্ত ওরফে গাট্টুর বিরুদ্ধে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, ওই রাজ্যের বিজেপি নেতা বিধায়ক সুরেশ রাঠোর এবং তাঁর স্ত্রী উর্মিলা সানওয়ারের গার্হস্থ্য বিবাদের জেরে ঊর্মিলা একটি লাইভ করেন। তাতেই ফাঁস হয়ে যায় উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বিলাসবহুল হোটেল তথা রিসর্টের রিসেপশনিস্ট ১৯ বছরের অঙ্কিতা ভান্ডারীর খুনের আসল রহস্য। নেপথ্যে নাকি এক ভিভিআইপি। একটি অডিও ক্লিপ প্লে করেন ঊর্মিলা। স্বামী-স্ত্রী ঝগড়ার সূত্রে বিজেপি নেতা সুরেশকে বলতে শোনা যায়, হোটেলে গাট্টুই ছিল ওই রাতে। গাট্টুই জোর করেছিল অঙ্কিতাকে বিছানায় তোলার জন্য। গাট্টুর বিছানাতেই অঙ্কিতাকে তুলে দিতে মরিয়া ছিল হোটেল মালিকের ছেলে।

আরও পড়ুন-রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী

পরে জানা যায়, মোটা টাকারও প্রলোভন দেখানো হয়েছিল অঙ্কিতাকে। কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হননি। কয়েকদিন পরেই অঙ্কিতার দেহ পাওয়া গেল ঋষিকেশের খালে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হল হোটেলের মালিক এবং তাঁর ছেলে। বুলডোজার দিয়ে হোটেল বা রিসর্টটি গুঁড়িয়ে দিয়ে বাহবাও কুড়োলেন গেরুয়া উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করা হল, সুবিচার পেয়েছেন অঙ্কিতা। কিন্তু আসল রহস্যটা সেখানেই। স্নেহভাজন দুষ্মন্তকে রক্ষা করতে নাকি এভাবেই হোটেল বা রিসর্টে তার কুকীর্তির যাবতীয় প্রমাণ মুছে দিতেই এই বুলডোজ অ্যাকশন!

আরও পড়ুন-কমিশনকে হুঁশিয়ারি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের, বৈধ ভোটারদের হেনস্থা বন্ধ না হলে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

টেলিভিশন অভিনেত্রী ঊর্মিলার সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত, যেখানে তিনি গৌতমকে ওই মামলার সেই রহস্যময় ভিভিআইপি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই উত্তাল উত্তরাখণ্ডের রাজনীতি। হরিদ্বারের কাছে বনন্তরা রিসর্টের ১৯ বছর বয়সী রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভাণ্ডারীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ২০২৩ সালে মূল অভিযুক্ত পুলকিত আর্য এবং তার দুই সহযোগীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল কোটদ্বারের জেলা আদালত। পুলকিত আর্য তৎকালীন বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে। তদন্ত চলাকালীন নিহতের এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, রিসর্টে আসা একজন বিশেষ ভিআইপি-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কুপ্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় অঙ্কিতাকে খুন করা হয়। চার্জশিটে এই ভিভিআইপি-র সুনির্দিষ্ট পরিচয় না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রশ্নটি অমীমাংসিত ছিল।

Latest article