নিউটাউনে (Newtown) নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়। গ্রেফতার এক টোটো চালক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের কাজটা বিধাননগর থানার পুলিশের কাছে খুব সহজ না হলেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরিয়ে দিল অভিযুক্তকে। নিউটাউন সিটি স্কোয়ার ব্রিজের নিচের একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় নাবালিকাকে টোটো করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার গভীর রাতে নিউটাউন পুলিশ ক্যাম্প এলাকা থেকে ওই টোটো চালককে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়। এলাকার সব টোটো ও তাদের চালকের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলিয়ে মূল অভিযুক্তের নাগাল পায় পুলিশ। অভিযুক্তের টোটোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। টোটো চালকের আসল বাড়ি নদিয়ায়। নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরে ভাড়া থাকে সে।
আরও পড়ুন-ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ‘কামব্যাক’ শীতের
পুলিশি জেরায় সেই টোটো চালক ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার, জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে টোটোতে ওঠেন ওই নাবালিকা। গৌরাঙ্গ নগর যেতে টোটোতেই উঠেছিল সে। পরিচিত চালক বলেই টোটোর সামনের সিটে বসিয়ে নাবালিকাকে নিয়ে রওনা দেয় টোটো চালক। অন্য যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়ে নিউটাউনের লোহা ব্রিজের কাছে সেই নাবালিকাকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরিত্যক্ত এক জঙ্গলে এহেন নারকীয় কাণ্ড ঘটায় টোটো চালক। এখানেই শেষ নয়, পর্দা ফাঁস হওয়ার ভয়ে খুন করা হয় নাবালিকাকে। এদিনের এই নৃশংস ঘটনায় কারোর মদত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নাবালিকার বাবা ভারতীয় নৌসেনায় চাকুরীরত। তাঁর দুই মেয়ে। সেদিন দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নাবালিকা। তারপরই এমন ঘটনা পাল্টে দিয়েছে পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে। যৌন হেনস্থার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নাবালিকার শরীরে একাধিক আঁচড়ের দাগ, বুকে নখের আঁচর, মুখের কোণে রক্তের দাগ ছিল। মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। সেটাতে খুনের ধারা যুক্ত করে এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ খুনের সঙ্গে পকসো ধারা যোগ করে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে।