কেরলে (Kerala) ট্রেনে সহযাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত শাহরুখ সইফি মহারাষ্ট্র থেকে ধরা পড়ল ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ও মহারাষ্ট্র এটিএস-এর যৌথ দল মঙ্গলবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে ৷ সইফি বলে ট্রেন যাত্রীদের গায়ে আগুন লাগানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন-ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে প্রথমবার বাংলায় স্পাইডারম্যান
প্রসঙ্গত কেরলে (Kerala) আলাপুঝা-কান্নুর এক্সপ্রেসে এক ব্যক্তি সহযাত্রীদের গায়ে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ এমন ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বেশ কিছু সহযাত্রী। কী কারণে এই ঘটনা ঘটানো হল সেটা স্পষ্ট নয়। সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা মাথায় রাখছেন গোয়েন্দারা। আলাপুঝা-কান্নুর এক্সপ্রেসটি গতরাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ উত্তর কেরলের কোঝিকোড় স্টেশন ছেড়ে যায়। এর পরে ট্রেনের ডি ১ কোচে ঘটনাটি ঘটে। এলাথুর এবং কোয়িলন্দি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন-উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধসে মৃতের সংখ্যা ৭
ঘটনাটি প্রথম থেকেই জঙ্গি যোগের সন্দেহ করছিল পুলিশ৷ পুলিশ রেললাইনের পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে যার মধ্যে এক বোতল পেট্রোল ছিল এবং দু’টি মোবাইল ফোন ছিল।
স্কেচের ভিত্তিতে জানা যায় সইফির বাড়ি দিল্লির শাহিনবাগ এলাকায়৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ একই নামের উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু জায়গা থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়৷ কিন্তু আসল শাহরুখ সইফির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন-উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধসে মৃতের সংখ্যা ৭
গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে অভিযুক্ত শাহরুখ সইফি মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির একটি হাসপাতালে মাথার চোটের চিকিৎসা করাতে গিয়েছে ৷ চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে চোট পেয়েছিল সে৷ কিন্তু চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে পালায় শাহরুখ৷ সইফির পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, গত ৩১ মার্চ থেকে তাঁদের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
এই মুহূর্তে রত্নাগিরিতে রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে সইফি৷ সহযাত্রীদের গায়ে আগুন দেওয়ার নির্দেশ তাকে কেউ দিয়েছিল কি না, ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।