সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : শিশুসন্তান-সহ শিক্ষক দম্পতিকে নৃশংস খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উৎপল বেহরার মৃত্যুদণ্ড হল। বিচারক এটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে জানান। মুর্শিদাবাদ জেলা তথা রাজ্যের বহু চর্চিত জিয়াগঞ্জ হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দিলেন বহরমপুর তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সন্তোষকুমার পাঠক। মঙ্গলবারই উৎপলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আজ সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। ২০১৯-এর ৮ অক্টোবর দুর্গাপুজোর দশমীর দিন বাড়িতে খুন হন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, স্ত্রী বিউটি পাল এবং সাত বছরের সন্তান অঙ্গন। খুন হওয়ার সময় বিউটি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
আরও পড়ুন-কাকলির মতে, বিজেপি সাংসদকে সুবিধে পাইয়ে দিতে চাঁদপাড়ার অমৃত ভারত প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে
পুলিশ তদন্তে নেমে সাগরদিঘির সাহাপুরের উৎপল বেহরাকে সাতদিন পর গ্রেফতার করে। বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে সাহাপুরে থাকার সুবাদে পরিচয় হয়েছিল। বন্ধুপ্রকাশের কাছ থেকে ১১ বছর মেয়াদের বেসরকারি বিমা পলিসি কিনেছিল উৎপল। বাৎসরিক প্রিমিয়াম ছিল প্রায় ২৪ হাজার টাকা। কিস্তির টাকা নিলেও বন্ধুপ্রকাশ সেই টাকা জমা না দেওয়াতে পলিসি বাতিল হয়ে যায়। সেই রাগ থেকেই বন্ধুপ্রকাশকে খুনের পরিকল্পনা করে ৩ অক্টোবর এগরা থেকে মুর্শিদাবাদে আসে পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল। ৮ অক্টোবর সকাল ১০.৩৭টা নাগাদ বাড়িতে গিয়ে একে একে তিনজনকে খুন করে পালায়। উৎপলের আইনজীবী দে বলেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।