প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ করা হল রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য। এই তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়, সাধু রাম সিএইএনডি মুর্মু ইউনিভার্সিটি, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ইউনিভার্সিটি, বিশ্বাস রানী রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটি। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকেই উপাচার্যদের বেছে নিয়েছেন আচার্য। আর এই নিয়ে ফের একবার আচার্যকে এক হাত নিলেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-ফৌজদারি মামলা সবচেয়ে বেশি বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই
শিক্ষামন্ত্রীর এদিন এক্স হ্যান্ডেলে আচার্যকে নিশানা করে বলেন, আচার্য নিজের ভূমিকা নিয়ে গভীর বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। আমরা নিশ্চিত যে রাজ্যের সুপারিশ করা উপাচার্যের তালিকা থেকেই আচার্যকে উপাচার্যদের বেছে নিতে হবে। এটর্নি জেনারেল আগেই রাজ্যে সুপারিশ করার নাম সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছিলেন। এমনকি আদালত তা মঞ্জুর করেছিল। এরপরেই শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, তাহলে অযথা বিতর্ক তৈরি করে কেন আচার্য বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছিলেন? তাহলে কি তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন?
আরও পড়ুন-মোদি-হাওয়া বলে কিছু নেই স্বীকার করলেন বিজেপি প্রার্থীই
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য করা হয়েছে ভাস্কর গুপ্তকে। গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রেম পোদ্দার, সাধু রাম সিএইএনডি মুর্মু ইউনিভার্সিটি ঝাড়গ্রামের অধ্যাপক অমিয় কুমার পাণ্ডা, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ইউনিভার্সিটি (ঠাকুরনগর )-র অধ্যাপক তপন কুমার, বিশ্বাসরানি রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হয়েছেন আশুতোষ ঘোষ।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের দেওয়া তালিকা থেকে যে ছজনকে বাছা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ৬ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।