প্রতিবেদন : প্রত্যাশামতো ইউক্রেনকে কব্জা করতে না পেরে আরও আগ্রাসী রাশিয়া নির্বিচারে মেতেছে ধ্বংস আর হত্যালীলায়। মারিউপোল শহরে ইউক্রেনীয় সেনাকে আত্মসমর্পণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল রাশিয়া। ইতিমধ্যেই সেই সময় সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। আত্মসমর্পণ করা তো দূরের কথা, বরং প্রাণ দিয়ে রুশ সেনার বিরুদ্ধে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অকুতোভয় ইউক্রেনীয় সেনা। মারিউপোল, কিয়েভ, লিভিভ-সহ বিভিন্ন শহরের দখল নিতে না পেরে আরও আগ্রাসী ও নৃশংস হয়ে উঠেছে পুতিন বাহিনী।
সোমবার লিভিভ শহরের মেয়র অ্যান্ড্রি স্যাডোভি জানিয়েছেন, রাশিয়া এই শহরে পাঁচবার মিসাইল হামলা চালিয়েছে। রুশ মিসাইল হামলায় ছারখার হয়ে গিয়েছে শহরের একাংশ। পুড়ে ঝামা বহুতলগুলি এক একটি ধ্বংসস্তূপ। আক্রোশ মেটাতে রাশিয়া অযথা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কিয়েভে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এখনই বাইডেনের ইউক্রেন সফরের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকায় রাশিয়া নিজেদের মুদ্রা রুবল চালু করেছে। যদিও ইউক্রেনের (Ukraine) তরফে এই প্রচারকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
একটানা ৫৩ দিন যুদ্ধের পর ইউক্রেনের (Ukraine) বেশিরভাগ এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপ ও মৃত নগরীর চেহারা নিয়েছে। সাজানো-গোছানো শহরের বাড়িগুলি পোড়া কঙ্কালের চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে। বেশিরভাগ মানুষই প্রাণ বাঁচাতে শরণার্থী হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। গত কয়েকদিনের যুদ্ধে শুধুমাত্র মারিউপোল শহরেই প্রায় ৫০০০ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই শহর এখন অনেকটাই রুশ সেনা ও রুশ মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের দখলে। অন্যদিকে রাশিয়ার লাগাতার মিথ্যাচার অব্যাহত। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষের ওপর নাকি রুশ সেনা কোনওরকম হামলা চালাচ্ছে না! মস্কো যাই বলুক না কেন, ইতিমধ্যে একাধিক দেশ পুতিনকে গণহত্যাকারী বলে আখ্যা দিয়েছে।