প্রতিবেদন : কেন্দ্রের নতুন তিন ফৌজদারি আইন রাজ্য সরকার গঠিত কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করছে। সেই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজ্য সরকার এ-ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নতুন তিন ফৌজদারি আইন সংশোধনের দাবিতে আনা সরকারি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে আইনমন্ত্রী একথা জানান।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য বিমার পণ্য ও পরিষেবা করে জিএসটি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, নতুন তিন ফৌজদারি আইন ঔপনিবেশিক বিচার ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ নতুন ৩ আইনের অধিকাংশ ধারাই পুরনো দণ্ড সংহিতা থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। বরং বেশ কিছু দমনমূলক ধারা ঔপনিবেশিক শাসকদেরও ছাপিয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ই বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি পর্যালোচনা করে দেখছে। কেন্দ্রীয় আইন হলেও প্রয়োজন বুঝলে রাজ্য বিধানসভার ওই তিন আইনে পরিমার্জন বা সংশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এদেশে স্বাধীনতার পর থেকে প্রণয়ন হওয়া সমস্ত আইনের ক্ষেত্রেই আইন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। এর একমাত্র ব্যতিক্রম নতুন তিন ফৌজদারি আইন। আইন প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত মহলে আলোচনার কথা বললেও বিচার বিভাগের অন্যতম অংশীদার আইনজীবীদের সংগঠনের মতামতই গ্রহণ করা হয়নি। উল্টে ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে গায়ের জোরে কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন প্রণয়ন করেছে। রাজ্য সরকার যার বিরোধী।