ফের নিজের দলের নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গা পুজোর আয়োজন নিয়ে বিজেপি নেতাদের অন্দরের দ্বন্দ্বকে কটাক্ষ করেন জয়। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে তীব্র ব্যঙ্গ করেন তিনি।
সল্টলেকের ইজেডসিসি গত বছর দুর্গা পুজো করেছিল বঙ্গ বিজেপি। তবে সেই পুজোয় উৎসবের থেকে রাজনীতির গন্ধ বেশি ছিল। এবারও পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছেন দলের একাংশের নেতারা। বিরোধিতা করছেন অপর একটি অংশ। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করলেন দলেরই নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-“বিজেপি মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস, নতুন ভারত গড়তে নেতৃত্ব দিক বাংলা”: মমতা
তাঁর বক্তব্য, গত বছর বাঙালির মত পেতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। নেতারা মনে করেছিলেন, বাংলার শাসন ক্ষমতায় আসা যাবে। এবার সেই পুজো করা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার এই পুজোর ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী না হলেও নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এব্যাপারে উৎসাহী বলেই জানা গিয়েছে। ঠিক হয়েছে এবারের পুজো ছোট করে করা হবে। সেখানে একবার পুজো করলে পরপর তিনবার পুজোর করার রীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। মা দুর্গার আরাধনা নিয়ে এমন দ্বন্দ্ব! তাই বিষয়টি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মা দুর্গার ওপরেই ছেড়েছেন। তাঁকেই (মা দুর্গা) ঠিক করতে হবে বিজেপির পুজোয় তিনি আসবেন কি আসবেন না।
বিজেপির দুর্গা পুজো প্রসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীকেও নিশানা করেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কৈলাশকে কটাক্ষ করে জয় বলেন, গতবার পুজোর হোতা ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তাঁকে আর বাংলায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বোধ হয় কৈলাশে গিয়ে বসে আছেন। কারণ, ভোটের পর থেকে পার্টির যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সবাই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে খুঁজছেন, পেলেই জুতোর বারি দেবেন।
আরও পড়ুন-মহালয়াতেই একের পর এক পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, চেতলা অগ্রনীতে প্রতিমার চক্ষুদান
জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মা দুর্গাকে নিয়ে বিজেপির রাজনীতির যেমন কড়া সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে আবার রাজ্য বন্যা ও করোনায় রাজ্যের যাঁরা বিপর্যস্ত, তাঁদের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনাও করেছেন।
এদিকে, সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্যেই EZCC-তে ছোট করে পুজোর আয়োজন করেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে দিয়ে এই দুর্গাপুজো উদ্বোধন করাতে চান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। গতবছর দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীকে এড়িয়ে পুজো করেছিল তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতারা। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী দত্তকে পুজোর আয়োজক তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার তিনি হঠাৎ বেসুরো। উল্টে সব্যসাচী বলছেন, “গতবার ছিল ভোটের পুজো। এ বার ভোট নেই। তাই পুজোরও মান নেই।”