ভেঙে পড়ল আদানিদের ড্রোন

প্রশ্ন উঠেছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর নজরদারী ড্রোন তৈরির দায়িত্ব কেন দেওয়া হয়েছে মোদি-ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে?

Must read

প্রতিবেদন : অনেক আগেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর নজরদারী ড্রোন তৈরির দায়িত্ব কেন দেওয়া হয়েছে মোদি-ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে? সেই আপত্তি যে মোটেই অযৌক্তিক নয় তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। কিন্তু নৌবাহিনীর হাতে তা তুলে দেওয়ার আগেই গুজরাতের পোরবন্দরে ভেঙে পড়ল সেই ড্রোন। পরীক্ষামূলক উড়ানের সময়ই সেটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। বরাত দেওয়া হয়েছিল দু’টি ড্রোনের। একটি নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল গত ডিসেম্বরেই। হায়দরাবাদ থেকে সেটিকে পাঠানো হয় পোরবন্দরে। মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ভেঙে পড়ল দ্বিতীয় ড্রোনটি। এই হল মোদি-আদানির সমীকরণের পরিণতি।

আরও পড়ুন-বিয়ে নিয়ে বচসা, মেয়েকে গুলি করে মারল বাবা

ইজরায়েল প্রযুক্তিতে তৈরি ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ নামে এই ড্রোন মাঝারি উচ্চতার উড়ানের ক্ষমতাসম্পন্ন। নৌবাহিনীর নজরদারির কাজের জন্যই গতবছর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এই অত্যাধুনিক ড্রোনকে। তাদের দাবি, নৌসেনার জন্য ভারতে তৈরি প্রথম ড্রোন এটি। প্রস্তুতকারী সংস্থা প্রচুর স্বপ্ন দেখিয়েছিল ১৫০ কোটির এই ড্রোনকে ঘিরে। বলা হয়েছিল, উপকূলে নজরদারি আরও জোরদার করতে নৌবাহিনীর সম্পদ হয়ে উঠবে এই ড্রোন। কড়া নজর রাখা সম্ভব হবে গভীর সমুদ্রে শত্রুপক্ষের জাহাজের উপরে। বিশেষ ভূমিকা নেবে জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধেও। একটানা ৩৬ ঘন্টা আকাশে উড়তে সক্ষম এই ড্রোন। ভারবহন করতে পারে ৪৫০ কেজি। শুধু তাই নয়, প্রবল ঝড়-জল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও অটুট থাকবে এর কর্মক্ষমতা। কিন্তু আদানিদের এই সব প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাসই যে ভিত্তিহীন তা প্রমাণিত হল এবার।

Latest article