বুধবার রাতেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আদানি এন্টারপ্রাইজেসের নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া। কী কারণে নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হল তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি নিজেই তাঁর সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-লুকআউট নোটিশ জারি করে গৌতম আদানির গ্রেফতারি চাই: সুখেন্দুশেখর
ট্যুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় গৌতম আদানি বলেছেন, এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনেকই অবাক হয়েছেন। কিন্তু বাজারের অস্থিরতা বিবেচনা করে, সংস্থার পরিচালন বোর্ড মনে করেছে, চলতি পরিস্থিতিতে এফপিও নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নৈতিকভাবে ঠিক হবে না। আমাদের বিনিয়োগকারীদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতেই এফপিও প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রতারণা নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে প্রতিদিনই পড়ে চলেছে তাদের ৭টি সংস্থার শেয়ার দর। তা সত্ত্বেও আদানি এন্টারপ্রাইজেসের দ্বিতীয় দফার শেয়ার কেনার চাহিদা ছিল ভালই। সে জন্য লগ্নিকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আদানি। কিন্তু বুধবার রাতে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনিশ্চিত বাজারের কারণে আপাতত ওই এফপিও নিয়ে তারা এগোবে না। ফিরিয়ে দেওয়া হবে লগ্নিকারীদের টাকা।
আরও পড়ুন-আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ, জেপিসি দাবি
বুধবারও আদানি এন্টারপ্রাইজেস-সহ আদানি গ্রুপের প্রতিটি সংস্থার শেয়ারের দর বিপুল পড়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেয়ারের দর পড়ে যাওয়ার কারণেই আপাতত নতুন এফপিও ছাড়ছে না আদানি গোষ্ঠী। বুধবার আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দরে পতনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থসচিব অজয় শেঠ জানান, কোনও একটি নির্দিষ্ট সংস্থার বিষয়ে কেন্দ্র মন্তব্য করে না। শেয়ার দরের পতনের কারণে ইতিমধ্যেই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা হারিয়েছেন গৌতম আদানি। সেই জায়গায় ফের উঠে এসেছেন মুকেশ আম্বানি। আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তার রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করছে আদানি গোষ্ঠী। ২৪ জানুয়ারি রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানিদের ১০টি সংস্থার শেয়ারে ধস নামে।