সংবাদদাতা, কাঁথি : দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয় অবস্থিত হলেও সেখানে সব সরকারি বাস ও সুপারফাস্ট বাস দাঁড়াত না। কলেজের বহু ছাত্রছাত্রী বাইরে থেকে আসেন। অনেকে কালীনগর হেড়িয়া, রামনগর পিছাবনি, এগরা, কাঁথি থেকে দুবার বাস পাল্টে কলেজে আসেন। তাঁদের স্বার্থে ২০১৪ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্রছাত্রীরা বাস স্ট্যান্ড ও স্টপেজের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। কাঁথির অধিকারী ভাইয়েরা সমস্যার কথা জেনেও কিছু করেননি।
আরও পড়ুন-রেলের গড়িমসি নিয়ে সংসদে সরব শতাব্দী
সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি থাকাকালীন সমাধানের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। অধিকারীরা যা পারেননি তা করে দেখালেন দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালন কমিটি। গত বছর কলেজের নতুন পরিচালক কমিটির সভাপতি হন প্রাক্তন মন্ত্রী ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর। তিনি পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলকে এই বিষয়ে চিঠি দেন। সেই চিঠির উত্তর আসায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আন্দোলন ও দাবি মান্যতা পেল। বৃহস্পতিবার অধ্যাপক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা সবাই রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল ও কলেজ প্রেসিডেন্ট জ্যোতির্ময় করকে ধন্যবাদ জানান। কলেজের প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্য আবেদ আলি খান বলেন, ‘আমার নেতৃত্বেই কলেজে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দুই অধিকারী একটা বাস স্ট্যান্ড করতে পারেনি, রাজ্য জুড়ে বড় বড় কথা বলে বেড়ায়।’