বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভদ্র্রক জেলার ধামড়া এবং ভিতরকণিকার কাছে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Dana)।এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সাগর থেকে দিঘা এবং কলকাতায় রীতিমত ভাল প্রভাব পড়বে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ‘দানা’র জেরে যাতে কোনরকম প্রাণহানি না ঘটে তার জন্য তৎপর প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্তঃসত্ত্বা এবং বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুন্দরবনের সাগরদ্বীপ থেকে ৬৫ জন অন্তঃসত্ত্বাকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বিপদের মধ্যে হাসপাতালে না পৌঁছতে পারার জন্য মা–শিশুর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এবং কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিমি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই এবার আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাণহানি ঠেকাতে তৎপর জেলা প্রশাসনের অফিসাররা। উপকূল এলাকায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের চিহ্নিত করে সকলকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।