সংবাদদাতা, দিঘা : নিম্নচাপ এবং ভরা কোটালের জোড়া ফলায় রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আগামী বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেইমতো মঙ্গলবারও সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলল বৃষ্টিপাত। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন শহর দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামতে পারলেন না পর্যটকেরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন সমুদ্রের জলস্তর ছিল অনেকটাই উঁচু। ফলে প্রশাসনের তরফে দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নামতে দেওয়া হয়নি। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক নদীবাঁধ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। চলতি বছর দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যাতে নদীবাঁধ থেকে সাধারণ জনজীবনে কোনওরকম প্রভাব না পড়ে সেজন্য প্রশাসনিক মহলেও শুরু হয়েছে তৎপরতা।
আরও পড়ুন-কয়েকদিনের মধ্যেই পরবর্তী পদক্ষেপ : ডেরেক
উপকূলের যে যে ব্লকে নদীবাঁধ নড়বড়ে সেই সমস্ত এলাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ। মহিষাদল ব্লকের অতৃতবেড়িয়াতেও সেচ দফতরের উদ্যোগে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলায় বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রামনগর ১, সুতাহাটা, নন্দীগ্রাম ১, খেজুরি, মহিষাদল-সহ বিভিন্ন ব্লকে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও পর্যটকেরা যাতে উত্তাল সমুদ্রে নামতে না পারেন সেজন্য সকাল থেকে চলে মাইকিং। সমুদ্রে নামা রুখতে প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবার গার্ডওয়াল টপকে পাড়ে জল ঢুকতে শুরু করে। ভাটার সময় অবশ্য পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর ০৩২২৮- ২৬২৭২৯৮। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘আমরা সব ব্লকের বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেছি। নিচু জায়গাগুলিতে যদি জল ঢুকতে শুরু করে সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।’