প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই রাজ্য জুড়ে জোরকদমে শুরু হল বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নবান্ন থেকে বিভিন্ন পুরসভা, পুরনিগম ও পুলিশকে বেআইনি হকার দৌরাত্ম্য নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারপরই তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যার পরই সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাস্তার ধারের দোকানপাট ও ব্যবসার সামগ্রী সরিয়ে দেয় বিধাননগর পুলিশ। শুধু সল্টলেকেই নয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, ভবানীপুর, এসপ্ল্যানেড, এসএসকেএম, যদুবাবুর বাজার, নিউমার্কেট চত্বর, চৌরঙ্গি স্কোয়ারে বেআইনিভাবে ফুটপাথ দখল করে হকার দৌরাত্ম্য রুখতে পথে নামল কলকাতা পুলিশ। তাদের তরফে বেআইনি হকারদের কড়া ভাষায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চলবে না। অভিযান চলে হাওড়াতেও। জিটি রোড, আন্দুল রোড, শালিমার, কদমতলা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বেআইনি জবরদখল রুখতে অভিযানে নেমেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। কোনওভাবেই যেন রাস্তা বা সরকারি জায়গা দখল না করা হয়, সেই নিয়েও সচেতনতা বার্তা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, শহরের রাস্তায় গতি আনতে টোটো চলাচলেও রাশ টানছে পুলিশ। কোন রাস্তায় কখন টোটো চলাচল বন্ধ থাকবে, তা চূড়ান্ত করতে পুলিশ আধিকারিকরা বৈঠক করছেন। অন্যদিকে, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ফিরে বৈঠকে বসলেন মেয়র গৌতম দেব। এদিন প্রথমে পুরনিগমের কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপরেই শিলিগুড়িতে পূর্ত দফতরের বাংলোয় পুরনিগমের ৩৬ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়ি শহরে সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে অবৈধ নির্মাণ ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুরনিগম। এছাড়াও শহরের অনিয়ন্ত্রিত যানজটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।