ডিভিসি-র ছাড়া জলে রাজ্যে ‘ম্যান মেড’ বন্যা। পরিদর্শনে প্লাবিত জেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার, তিনি গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান। সেখানে গিয়ে প্রশাসিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্লাবনের জেরে ফসল নষ্ট নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্যবিমার টাকা পাবেন। বলেন, “পরিস্থিতি ঠিক হলে যাঁদের জমি নষ্ট হয়েছে, তাঁদের জমি মেপে শস্যবিমার টাকা যাতে দ্রুত পান সেই ব্যবস্থা করার জন্য বলব। আমি চাষি ভাই-বোনেদের চিন্তা করতে বারণ করব।“
রাজ্যের বানভাসি মানুষের পাশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমরা এখন ২৪ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখি। সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা অনেকগুলো বন্যা সেন্টার তৈরি করেছি। কিন্তু তাতেও বাঁধ মানছে না। বাঁধ ভাঙছে। দরকার হলে স্কুলগুলোকে কাজে লাগাতে পারি তা দেখতে হবে। পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে যে সব রাস্তা ভেঙেছে, তা সমীক্ষা করে দেখতে। জল কমলে পঞ্চায়েত বাড়ির সমীক্ষা করবে।“ মুখ্যমন্ত্রী জানান, “বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক। সাংসদদের অনুরোধ করব তারাও গ্রামীণ রাস্তা করুক। বাড়ির টাকা একসাথে ডিসেম্বরে দেওয়া হবে।“
আরও পড়ুন- সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বাংলায় ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী
কৃষকদের পাশাপাশি প্লাবনের যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁদেরও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বলেন, “পঞ্চায়েত দফতরকেও বলা হয়েছে জল কমলেই যেন সমীক্ষার কাজ শেষ করে। যাঁদের মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে, তাঁদের অনেকের বাড়ি তালিকায় না থাকলে দেখা হোক। ডিসেম্বরে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি করার জন্য টাকা সরকার ছাড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আপাতত তাদের তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কমিউনিটি কিচেন করছে। পুলিশ কাজ করছে। আমরাও সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। মুড়ি, ডাল, আলু, সয়াবিন, বাচ্চাদের দুধ, সরষের তেল যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে।“ সাপে কাটা ওষুধ হাসপাতালে বেশি রাখার নির্দেশ দেন মমতা। জ্বর, ডায়ারিয়ার ওষুধ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “লোয়ার দামোদর বেসিন প্রকল্প করছি। এর ফলে অনেক বাড়ি বেচে গেছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ দীর্ঘ সময় কেন্দ্র ফেলে রেখেছে। মালদহে ভূতনিতে কাজ হচ্ছে। বর্ষার জন্য কাজে সমস্যা হবে।“