দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে ম্যানহোল বা নর্দমায় মানুষ নামিয়ে সাফাই বা ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’-(manual scavenging) এর উপর জারি হল কড়া নিষেধাজ্ঞা। একাধিকবার ম্যানহোলে সাফাইয়ের কাজ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসের ফলে কর্মীদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালে দেশে আইন তৈরি হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, ম্যানহোল পরিষ্কার, মলমূত্র সাফাই কিংবা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না। কোন জরুরি অবস্থায় কাউকে ম্যানহোলে নামানো হলেও সেই সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের সব রকমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন-পুরীতে জগন্নাথ দেবের জমি দখল ঘিরে অসন্তোষ
কিন্তু সমস্যা হল আইনের তোয়াক্কা না করেই এখনও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ম্যানহোলে মানুষ নামানোর মতো কাজ করেই চলেছে। অবশেষে ২০২৩ সালে কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে শীর্ষ আদালত একটি খতিয়ান তৈরির নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রের এক হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, দেশের ৭৭৫টি জেলার মধ্যে ৪৫৬টিতে ম্যানহোল কিংবা নর্দমায় নেমে সাফাইয়ের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এই মর্মে জানিয়েছেন, ওই হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু অসম্পূর্ণতা থেকে গিয়েছে। দেশের বড় শহরগুলিতে এখনও এই নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে সাফাইয়ের কাজ হয় কিনা সেটা হলফনামায় উল্লেখ করা নেই। এরপরেই নতুন করে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে প্রতিবেশীর নির্মম লালসার শিকার যুবতী, মুখে-শরীরে ঢালল অ্যাসিড
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয় শহরের প্রধান নির্বাহী কর্তাদের হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। জানিয়েছেন রিপোর্টে জানাতে হবে, কী ভাবে এবং কখন ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ বন্ধ করা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে তার এক সপ্তাহ আগে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।