বিহারের পর এসআইআরের থাবা এবার রাজধানী দিল্লিতে

Must read

প্রতিবেদন: বিহারের পরে এসআইআরের থাবা এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে (SIR in Delhi)। কিছুটা অবাক করে দিয়েই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল, দিল্লিতে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের কাজ শুরু করছে তারা। তবে কবে থেকে এসআইআরের মূল প্রক্রিয়া শুরু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি এখনও। সেই তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিহারে এসআইআর নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠার পরে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআর শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তোড়জোড় শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক মহল থেকে সর্বস্তরে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে, বিজেপির নির্দেশে বিহারের মতো বাংলাতেও ভোটচুরির চক্রান্ত করছে কমিশন। কিন্তু এরই মাঝে আচমকাই দিল্লিতে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত কেন, রহস্য দেখা দিয়েছে তা নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এসআইআরের আড়ালে এবারে কি রাজধানীতে নতুন কোনও ফন্দি আঁটছে গেরুয়া শিবির? ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে বিহারের মতো দিল্লিতেও প্রকৃত নাগরিকদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেষ্টা করছে?

আরও পড়ুন-মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফা দাবি তৃণমূল সাংসদের

এদিকে বিজেপি তথা মোদি সরকারের ভোট কারচুপির বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের মতোই সোচ্চার হলেন লোকসভার বিরোধী রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, ভোটার তালিকা থেকে সফ্টওয়্যার দিয়ে মুছে দেওয়া হচ্ছে নাম। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের একাধিক আসনের ভোটচুরিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র নিশানা করেন তিনি। তাঁর দাবি, কর্নাটকে কয়েকটি কেন্দ্রে হাজার হাজার ভোট চুরি হয়েছে। কর্নাটক রাজ্য পুলিশের সিআইডি এই ভোট চুরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ বার কমিশনের কাছে তথ্যপ্রমাণ চাওয়া সত্বেও যথোপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি। এদিন দিল্লিতে (SIR in Delhi) আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কমিশনকে ভোটে কারচুপির তথ্য পেশ করার জন্য সাতদিনের সময়সীমা দিয়েছেন। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা জানান, কর্নাটকের আলন্দ কেন্দ্রের ৬০১৮ জন ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ভূয়ো লগইন ব্যবহার করে। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও সাকেত গোখেল তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপিকে।

Latest article