প্রতিবেদন : বিষ্ণুপুরের পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে ১০ প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বরাদ্দ করার পর এবার তালডাংরার ঘাঘর ও খাতড়ার পোরকুল পিকনিক স্পটের উন্নয়ন প্রকল্পে পর্যটন দফতর মঞ্জুর করল প্রায় এক কোটি টাকা। শিলাবতী নদীর উপর ঘাঘর পিকনিক স্পট। সেখানে পাথরের উপর দিয়ে ঝর্নার জল বেয়ে পড়ার দৃশ্য দেখতে বছরভর, বিশেষত শীতের মরশুমে পর্যটকদের ঢল নামে। পাশাপাশি কংসাবতী নদীর কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পোরকুলেও বহু মানুষ দলবল-সহ এসে পিকনিকের আসর বসান। মকর সংক্রান্তিতে মেলাও বসে। এই দুটি পিকনিক স্পট ঢেলে সাজাতে স্থানীয়দের ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। সেইমতো ব্লক প্রশাসন রাজ্য পর্যটন দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষে দুটিরই অনুমোদন মিলেছে।
আরও পড়ুন-তারাপীঠ মেতেছে নবান্ন উৎসব ও অসময়ের কার্তিকপুজোয়
খাতড়ার এক প্রশাসনিক আধিকারিকের কথায়, রাজ্যের ইকো-ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পে তালডাংরার ঘাঘর ও খাতড়ার পোরকুল পিকনিক স্পট দুটিকে ঢেলে সাজানোর প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। বাঁকুড়া শহর থেকে ৫৫কিলোমিটার দূরে তালডাংরা ব্লকের হাড়মাসড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘাঘর পিকনিক স্পট। সেখানে রাস্তা, শিশুউদ্যান, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, পাঁচিল, কিচেন, ক্যান্টিন ইত্যাদি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তার জন্য ৫৬ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ওই কেন্দ্রের কাছাকাছি তিলাবনি, বটডাঙা, পাথরপুকুরিয়া, তুলসিপুর, রাখাবন, বালিখুলিয়া প্রভৃতি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রয়েছে। এর ফলে ওই সব এলাকাও সমৃদ্ধ হবে। এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে।
খাতড়ার পোরকুলেও পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার, শিশুউদ্যান, রাস্তা প্রভৃতির উন্নয়নে ৪২ লক্ষ ৯৮হাজার টাকা খরচ অনুমোদিত হয়েছে। এই দুটি স্পটের সম্ভাব্য সব কাজ দ্রুত শেষ করে জেলার পর্যটন মানচিত্রে দুটি উন্নত ডেস্টিনেশন যুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হবে।