বিলকিস বানো কাণ্ডে আমরা কী দেখলাম? দশ সদস্যের একটি টিম বিলকিস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করল। ভারতীয় মন, সর্বধর্ম সমন্বয়কে মেনে চলা মন, প্রত্যেক কণিকায় ঈশ্বরের অবস্থান মেনে চলা মন, আত্মগ্লানিতে এবং আশঙ্কায় ভরে উঠেছিল যখন জানা গিয়েছিল যে ওই দশ সদস্যের টিমে পাঁচজন বিজেপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
আরও পড়ুন-মেদিনীপুর মেডিক্যালে ডিসেম্বরেই ক্যাথ ল্যাব
বিজেপির নেতা-কর্মীদের নির্লজ্জতা, অহংকার, বিবেকহীনতা ও বেপরোয়া চরিত্র প্রায় সর্বজনবিদিত একটি বিষয়। দশজনের ওই টিম ১১ জন অপরাধীকে, নিকৃষ্ট জঘন্য কাজ করার পরেও, জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করল। এখানেই শেষ নয়। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর দোষীদের তিলক, মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হল। মনে হল তারা যেন কোনও বীরত্বব্যঞ্জক মহান কাজ করেছে। বলতে পারেন আমরা ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। আমার বাঁচি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, তাদের কী শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী? বলাৎকার করলে বা হত্যা করলে, বিশিষ্টবর্গের লোক হলে, কোনও সাজা হয় না উল্টে স্বাধীনতা দিবসের দিনে মালা, টিকা, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়!
আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারীসম্মানের কথা খালি মুখে বলেন। কাজে সেই নারীকেই অত্যাচার করা হিংস্র জানোয়ার শয়তানগুলোকে তোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোট জেতাটাই মূল কথা। ন্যায় নীতি, লজ্জা, দেশের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত, এগুলোর কোনও মূল্যই নেই ওঁর কাছে।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লক্ষ কৃষকের পাশে তৃণমূলের খেতমজুর সংগঠন, জোর শস্যবিমার ক্ষতিপূরণে
সেটা উনি নানা কাজে প্রমাণ করে দিয়েছেন। তার শেষতম উদাহরণ বিলকিস বানো কাণ্ড। সময় এসেছে। দেশপ্রেমী ভারতবাসী কোমর বাঁধুন, দেশমাতৃকাকে এইরকম কলুষিত করার প্রবণতাকে নির্মূল করতে আর দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে। গোরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলা স্বাধীনতার যুদ্ধে সবসময় নেতৃত্বদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখন এই দেশি স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে আবার বাংলাকেই নেতৃত্বদানের প্রশ্নে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই সময়ের দাবি। এবং এবারের মহান অগাস্ট মাসের শপথ।
জয় হিন্দ! জয় বাংলা!!