দুর্গাপুর ব্যারেজের পর এবার লক্ষ্য দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়ক, আড়াই কোটিতে সংস্কার করবে রাজ্য

১৯৫৫ সালে দামোদর নদের উপর গড়ে উঠেছিল দুর্গাপুর ব্যারেজটি। তার মাধ্যমে সেই সময় অবিভক্ত বর্ধমানের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা।

Must read

প্রতিবেদন : ১৯৫৫ সালে দামোদর নদের উপর গড়ে উঠেছিল দুর্গাপুর ব্যারেজটি। তার মাধ্যমে সেই সময় অবিভক্ত বর্ধমানের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা। এর পর দামোদর দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কংগ্রেসের পর বাম সরকার ৩৪ বছর রাজ্য শাসন করেছে। কিন্তু কোনও সরকারই দুর্গাপুর ব্যারেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে ক্রমে ব্যারেজটি জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরে রাজ্যের সেচ দফতর ব্যারেজটি সংস্কার করে ।

আরও পড়ুন-ড্রাগন চাষে চমক নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর

এবার ওই ব্যারেজের রাস্তা সংস্কারেরও উদ্যোগ নিল রাজ্যের পূর্ত দফতর। প্রাথমিকভাবে আড়াই কোটি টাকার ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরি করার পর এখন সেটি অর্থ দফতরের অনুমোদনের অপেক্ষায়। তাদের সবুজ সঙ্কেত মিললেই রাস্তা সংস্কারে নেমে পড়বে রাজ্য পূর্ত দফতর। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, আমাদের সরকার মানুষের সমস্যা সমাধানে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা নেয়। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংস্কার হয়েছে। এবার রাস্তারও সংস্কার হবে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এটি। পাশাপাশি বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত সামগ্রী রফতানিও হয় একমাত্র এই রাস্তা দিয়েই। ‌এই রাস্তা দিয়েই পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের মানুষ সহজে বাঁকুড়া হয়ে মেদিনীপুর, এমনকি ওড়িশা পর্যন্ত যাতায়াত করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারত থেকেও বহু লরি এই রাস্তা ধরে উত্তরবঙ্গে যায়। বাস, লরি, ছোট গাড়ি, বাইক মিলিয়ে প্রতিদিন ২৫ হাজারের মতো যান চলাচল করে এই রাস্তায়। অতিভারী যানবাহনও রয়েছে এর মধ্যে। ফলে চূড়ান্ত ব্যস্ত এই রাস্তার হাল কিছুদিন যাবৎ খারাপ। বিশেষ করে সংস্কারের পর ঝাঁ-চকচকে ব্যারেজের রাস্তার পাশে এই রাজ্য সড়কটি বেমানান। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে ব্যারেজ সংস্কারের কাজ শেষ করা তাঁর দফতরের সাফল্য নিজে দেখে যান সেচমন্ত্রী ডাঃ মানসরঞ্জন ভুঁ‌ইয়া। তখনই তাঁকে পাশের রাজ্য সড়কের বেহাল দশার কথা স্থানীয়রা জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। ইদানীং ক’দিনের বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ফলে দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে। আর মানুষের সমস্যা মেটাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরও। সরকারের নির্দেশে দুর্গাপুরে পূর্ত দফতরের ওয়েস্টার্ন জোনের মুখ্য বাস্তুকারের অফিস থেকে রাস্তা সংস্কারের ডিপিআর তৈরি হয়ে রাজ্য দফতরে জমা পড়েছে। এখন সেটি অর্থ দফতরের বিবেচনাধীন। অনুমোদন পেলেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করে দেবে পূর্ত দফতর।

Latest article