অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ : উৎসবের মরশুম শেষ হলেই প্রায় আঠারো হাজার বিজেপি সমর্থক যোগ দেবেন শাসকদলে। ইতিমধ্যেই তাঁদের যোগদান নিয়ে স্থানীয় স্তর থেকে রাজ্যস্তরে কথাবার্তা পাকা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি করলেন ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মোশারফ হোসেন। তাঁর দাবি যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল, সেই সব বিশ্বাসঘাতক নেতা-কর্মীদের বাদ দেওয়া হবে। বরং যাঁরা সত্যি মানুষের জন্য কাজ করতে চান সেই সব কর্মী-সমর্থক নেতাদের যোগদান করানো হবে। বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের বিধানসভা এলাকায় ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বিগত দিনে যে সব বিধায়ক ওই এলাকায় ছিলেন তার থেকে অনেক বেশি সক্রিয় মোশারফ হোসেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা হলেই দ্রুত পাশে গিয়ে দাঁড়ান তিনি।
আরও পড়ুন : বড় নামের বদলে তরুণরাই খেলুক : কপিল
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে সত্যিই প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় সে-বিষয়েও তাঁর কড়া নজরদারি রয়েছে। দফায় দফায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন এলাকার মানুষের দাবিদাওয়া পূরণ করার জন্য কাজ করছেন। দুর্গাপুজোর সময় নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে যেভাবে তিনি বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ করেছেন তা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিধায়কের নিজের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই কাজ করে চলেছি। সাধারণ মানুষ যে-কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে আমি তাঁদের পাশে রয়েছি। তবে যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে বিপদে ফেলতে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের এখনই দলে নিতে আমার ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাইছেন তাঁদের দলে নেওয়া হবে।’’