প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার স্মার্ট পঞ্চায়েতের পর এবার পঞ্চায়েতের কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া থেকে শুরু করে বাড়ির প্ল্যানের ছাড়পত্র— সবই দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। রাজ্য সরকারের ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত’ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আরও উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচন ঘোষণার আগেই স্মার্ট পঞ্চায়েত ২.০-শুরুর ঘোষণা করেছে রাজ্য। এই ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রাধান্য দিয়েই পঞ্চায়েত দফতর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
আরও পড়ুন-চৈত্রশেষে বাংলাদেশের শতাব্দীপ্রাচীন কাচ নাচ কাটোয়ায় বড় আকর্ষণ
গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত-২.০’ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরের একটি আলোচনা সভা হয়। পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথনের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে গ্রামোন্নয়নের কাজ করার ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল পেমেন্ট, এআই নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা যোগ দিয়েছিলেন সেই বৈঠকে।
বিগত দু’বছরে পঞ্চায়েত দফতর একাধিক অনলাইন পরিষেবা চালু করেছে। শূন্যপদ পুরণের জন্য যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার জন্যও একটি পৃথক পোর্টাল চালু হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দফতরের কর্মী আধিকারিকদের প্রতিদিনের হাজিরাও অ্যাপ বা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অনেকটা কাজ হওয়ায় রাজ্যের হাতে প্রচুর তথ্য আসছে। এই সমস্ত তথ্য হাতে থাকলে আরও ভালো করে এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।