সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ার : ১০ দিন পর অবশেষে বন দফতরের পাতা ফাঁদে শালকুমারহাটের প্রধানপাড়ার ত্রাস চিতাবাঘ। কয়েকদিন আগেই এক সকালে এই চিতাবাঘটি আলিপুরদুয়ার জেলার ১ নম্বর ব্লকের শালকুমারের প্রধানপাড়ায় সুখচান রায়ের বাড়ির শৌচাগারে লুকিয়ে ছিল। যার ফলে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাম জুড়ে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা করলে সেটি পালিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে বিগত কয়েকদিনে সেই চিতাবাঘটি গ্রামে বার কয়েক হানা দিয়ে গ্রামবাসীদের গৃহপালিত পশু তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর গ্রামবাসীদের অনুরোধে চিতাবাঘটিকে ধরতে খাঁচা পাতে বন দফতর।
আরও পড়ুন-ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে সাধুর বেশে কুম্ভে পলাতক শিক্ষক, আত্মঘাতী কিশোরী
রবিবার সকালে চিতাবাঘের হুঙ্কার শুনে গ্রামবাসীরা গিয়ে দেখেন চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হয়েছে। খবর পেয়ে আসে বনদফতরের কর্মীরা। তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায় চিতাটিকে। তবে বয়স্ক ওই চিতাবাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দেখা যায় যে তার দাঁত ও নখ বয়সজনিত কারণে খয়ে গিয়েছে। এছাড়াও তার থাবায় ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। এরপর পরিস্থিতি দেখে বন দফতর চিতাটিকে জঙ্গলে না ছেড়ে, পাঠায় দক্ষিণ খয়েরবাড়ির চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন, বয়স বেশি হওয়ায় চিতাবাঘটি হয়তো আগের মতো জঙ্গলে শিকার ধরতে পারছিল না, তাই সহজ শিকারের লোভে সেটি প্রতিনিয়ত লোকালয়ে হানা দিছিল। দাঁত ও নখ খয়ে যাওয়ায় প্রকৃতিতে শিকার ধরার প্রবণতা হারিয়েছে চিতাবাঘটি। তাই তাকে চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।