প্রতিবেদন : রাজ্য পুলিশে কর্মরত মহিলা কনস্টেবলদের এবার থেকে চাকরিতে যোগদানের ১০ বছর পরেই তাঁদের নিজের জেলায় পোস্টিং পেতে পারবেন। পাশাপাশি বিবাহিত বা সন্তানসম্ভবা মহিলা কনস্টেবলরা যাতে পছন্দসই জায়গায় বদলি হতে পারেন, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় পুলিশ বাহিনীর সমবণ্টন নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ রাজ্য প্রশাসনের। রাজ্যে পুলিশ কমিশনারেটগুলিতে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা যেখানে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে গ্রামীণ এলাকায় এই হার নেমে এসেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। তাই গ্রামীণ এলাকায় মহিলা কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে গেলেন বিডিও, আইসি
রাজ্যে এমন অনেক থানা আছে যেখানে মহিলা পুলিশ কর্মীদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের বিক্ষোভ বা তাঁদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটলে মহিলা কনস্টেবল সংখ্যায় কম থাকায় পুরুষ পুলিশকর্মী দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। তাই গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের বিক্ষোভ সামলাতে বাড়তি মহিলা পুলিশ রাখার ওপরে জোর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আর সেই সূত্রেই ১০ বছর পর মহিলা কনস্টেবলদের নিজের জেলায় পোস্টিংয়ের নীতি আনতে চলেছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার থানাগুলিতে কোথায় কত মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছে, তা জানার জন্য আলাদা একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট এলাকার জনসংখ্যা এবং অপরাধপ্রবণতা বিশ্লেষণ করে কোথায় কত মহিলা পুলিশকর্মী দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হচ্ছে, সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বহু থানায় মহিলা পুলিশকর্মীদের জন্য চেঞ্জিং রুম ও রেস্টরুমের ব্যবস্থা নেই। অনেক থানায় তাঁদের শৌচালয় অনেক দূরে। এসব পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের মহিলা পুলিশকর্মীদের জীবনযাপন সহজ করে তোলার লক্ষ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার।