প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এখনও মাথা নত করানো যায়নি। তাই আয়কর বিভাগের পরে এবার মাঠে নামানো হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিকে। এবার বিবিসির বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত লেনদেনের হিসেবে গরমিল থাকার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগের তদন্তে ভারতে বিবিসিকে তাদের বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছে। এমনকী, বিবিসির সব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে ইডি। চলতি বছরের শুরুতেই ব্রিটেনের এই জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থাকে আয়কর বিভাগের তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রায় তিনদিন ধরে আয়কর দফতর বিবিসি’র দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে সমীক্ষা চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন-এনসিইআরটির একাদশের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ পড়ল মৌলানা আবুল কালাম আজাদের কথা
১৭ জানুয়ারি বিবিসি ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন শিরোনামে দু’টি এপিসোডের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। ওই দুই তথ্যচিত্রের কারণে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিবিসি সরকারের রোষানলে পড়ে। এর তিনদিন পর ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার ইউটিউব এবং ট্যুইটারকে ডকুমেন্টারি শেয়ার করার লিঙ্কগুলি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিদেশ দফতরের আধিকারিকরা বলেছিলেন, এই তথ্যচিত্র ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এই ছবি। পাশাপাশি এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
আরও পড়ুন-দার্জিলিং থেকে প্রথম মহিলা পাইলট, গর্বিত দার্জিলিংবাসী
ওই ঘটনার প্রায় একমাস পর ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিসে সমীক্ষা চালায় আয়কর দফতর। একটানা তিনদিন ধরে আয়কর দফতরের এই সমীক্ষা চলে। যদিও তাতে অনৈতিক কোনও কিছুই মেলেনি। আয়কর দফতরের সমীক্ষার পর এখন ইডিও তদন্ত করবে। বিবিসির ভারতীয় প্রশাসক ও সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইডি বিবিসির বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ফেমা আইনের অধীনে তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, ইডি ইতিমধ্যেই বিবিসির বিরুদ্ধে ফেমা আইনে মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন এক আধিকারিক। পাশাপাশি বিবিসিকে তাদের হিসাব ও আর্থিক বিবরণী জমা দিতে বলেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।