মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) জব্বলপুরের বাসিন্দা অরুণ কুমার জৈন ২০২২ সালের ১১ মার্চ জব্বলপুর থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। ট্রেনটির নির্ধারিত সময় ছিল বিকাল ৩টে ৩০ মিনিট। ১২ মার্চ ভোর ৪টে ১০ মিনিটে হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ছিল কিন্তু ট্রেনটি প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরীতে পৌঁছয়। সময়ে পৌঁছতে না পারার ফলে সেই যাত্রীর সেখান থেকে যে ট্রেনে ওঠার কথা ছিল, সেটা মিস হয়। রেলের এই গাফিলতির প্রসঙ্গ সামনে এনে অরুণ কুমার জৈন কনজিউমার ফোরামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিন বছর আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ন্যায়বিচার পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন-আজ অশান্তি এড়াতে কড়া নির্দেশ পুলিশের
ট্রেন দেরি করলেও যাতে সমস্যা না হয় অরুণ কুমার একটি ট্রেন থেকে অন্য ট্রেনের মধ্যে প্রায় তিন ঘন্টার ব্যবধান রেখে টিকিট বুক করেছিলেন। এদিকে ট্রেন দেরি হওয়ায় তাঁর পুরো পরিকল্পনা পাল্টে যায়। স্বাভাবিকভাবেই রেলের অবহেলাকে দায়ী করে তিনি কনজিউমার ফোরামের দ্বারস্থ হন। রেল দফতর নিজেদের পক্ষে সওয়াল করলেও সঠিক কাগজপত্র দিতে পারেনি। তিন বছর পর কনজিউমার ফোরাম রেল দফতরকে দোষী সাব্যস্ত করল। ভারতীয় রেলকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে ফোরাম। এর মধ্যে রয়েছে ৮০৩ টাকা টিকিটের দাম। মানসিক হয়রানির জন্য ৫,০০০ টাকা এবং মামলার শুনানির খরচ বাবদ ২,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ৪৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা দিতে হবে রেলকে। বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন-গো-সংসর্গে সারবে ক্যানসার! আজব যুক্তি বিজেপি-মন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, ট্রেন লেট করে গন্তব্যে পৌঁছনো, দেরিতে আসা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে নতুন কিছু নয়। আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা ট্রেল দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজে আজকাল ট্রেনের যাত্রা এড়িয়ে চলে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ট্রেন একমাত্র মাধ্যম। সেখানে বাধ্য হয়েই যাত্রীকে রেলপথে যাত্রা করতে হয়। এছাড়া প্রতি মাসেই দুর্ঘটনার নজির তো আছেই। সবমিলিয়ে ভারতীয় রেলে যাত্রী সুরক্ষা ও সুবিধা যে রীতিমত সঙ্কটে সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।