প্রতিবেদন : শনিবার হলং বন বাংলো পরিদর্শনে গেলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মন্ত্রীর এই পরিদর্শন। জানা গিয়েছে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে মন্ত্রীর কাছে। নিজে সরেজমিনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া হলং বাংলো ভাল করে খতিয়ে দেখে বন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে বিশদে খোঁজ নেন। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বনমন্ত্রী বলেন, হলং বন বাংলোর এই অবস্থা দেখে আমি খুব মর্মাহত। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে। বন দফতরের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। দমকল ও পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটা প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রীর সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে নজর রেখেছেন, উনি যেভাবে বলবেন হলং নিয়ে সেভাবেই এগোনো হবে। তিনি যোগ করেন, আমাদের বনকর্মীরা যথেষ্ট কর্মকুশলী, তাঁরা সমস্ত বনাঞ্চলকে আগলে রাখেন। অনেকে এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করছেন, আমি অনুরোধ করব বাজার গরম করা খবরে কান না দিতে।
আরও পড়ুন-অমানবিক কর্মী-শোষণ, হিন্দুজা পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড
গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী হলং বন বাংলো। গোটা দেশে সমাদৃত এই বন বাংলোতে, মঙ্গলবার রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বনকর্তারা। প্রাথমিক অবস্থায় বনকর্মীরাই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু বন বাংলোটি কাঠের তৈরি বলে দ্রুত আগুন বিশাল আকার ধারণ করে সব পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। ঘটনার পর প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও বনকর্তা জলদাপাড়া আসেন তদন্তের কাজে। উত্তরের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জে ভি, রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল দেবল রায় থেকে শুরু আরও অনেকে। তবে সব বনকর্তা একই সুরে শর্ট সার্কিট তত্ত্বই সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, বন্ধ বাংলোতে কীভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থেকে শর্ট সার্কিট হয়? যদিও সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই বন কর্তারা দিয়ে দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কী বলা হয়।