আশ্রমিকদের অর্ধশিক্ষিত বলায় উপাচার্যের কড়া সমালোচনা

বিশ্বভারতী

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। আশ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে বললেন, ‘বুড়ো খোকা’, ‘অর্ধশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত’। সেখানেই না থেমে আশ্রমিকরা ইতিহাস জানেন না বলেও কুরুচিকর মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ব্রহ্ম আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর মন্দির মানেই ছিল উপনিষদ থেকে স্তোত্রপাঠ, ব্রহ্মসংগীত, পাঠ। কিন্তু মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণের পর ১৯১০ সালে রবীন্দ্রনাথ মন্দিরের দায়িত্ব নেওয়ার পর তা থেকে সরে এসে ‘মনের পরিবর্তন’ বা ‘সমাজ সম্পর্কে ভাবনা’-র উপর জোর দেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, রবীন্দ্রনাথের পথ অনুসরণ করে মন্দিরে আলোচনার প্রস্তাবনায় তিনি যা বলেন তা সঠিক। বিদ্যুৎবাবু (Bidyut Chakraborty) বলেন, ‘আশ্রমিকরা নিজেদের রাবীন্দ্রিক বলে দাবি করেন, অথচ বলছেন, মন্দিরে আমি যা বলি, তা নাকি উপযুক্ত নয়। কিন্তু আমি ঠিকই বলি। আসলে তাঁরা মন্দিরের ইতিহাস জানেন না।’ বুধবার সাপ্তাহিক মন্দিরের অনুষ্ঠানে নিজের প্রথামতোই উপাচার্য আশ্রমিকদের অমর্যাদাকরভাবে আক্রমণ করেন। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তন অধ্যাপিকার মতে, ‘বর্তমান উপাচার্যর কথার উত্তর দিতে রুচিতে বাধে। বমি পায়। উনি জানেন না যে মন্দির উপাসনার জায়গা। গুরুদেব খুব ভোরে চারটে নাগাদ উঠে ধ্যানে বসতেন। একদিন বিধুশেখর শাস্ত্রী এবং ক্ষিতিমোহন সেন তাঁকে বলেন, আপনার এই আধ্যাত্মিক অনুভূতির কথা যদি মন্দিরে বলতেন তাহলে খুবই ভাল হত। তারপর থেকেই মন্দিরে গুরুদেবের ভাষণ শুরু হয়। এই মন্দির উপাসনার জায়গা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য রাবীন্দ্রিকদের কটাক্ষ করতেই ভালবাসেন। তিনি নিজেকে অরাবীন্দ্রিক বলতেও ভালবাসেন। প্রাক্তনীদের আক্রমণ করেন, কিন্তু জানেন কি, রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি জানতে মানুষ প্রাক্তনীদের কাছেই যান। উপাচার্যের কাছে নয়।’

আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গেল চিকিৎসা-পরিষেবা

Latest article