প্রতিবেদন : ফের ভাঙল মেঘালয় কংগ্রেস৷ দল ছাড়লেন মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেমস লিংডোহ এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মানস দাশগুপ্ত।
দল ছাড়ার পর জেমস লিংডোহ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে একটানা ৩৩ বছর আমি কংগ্রেস দলে কাটিয়েছি। মেঘালয়ে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার পিছনে আমার বাবার অনেক অবদান ছিল। আমিও দীর্ঘসময় দলকে দিয়েছি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ওরা আমাকে কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে সরাতে দিল্লিতে চিঠি দিয়ে তদ্বির করেছে। রাজ্য কংগ্রেসের মধ্যে ভয়ঙ্কর অবক্ষয় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-Navy Day: ভারতীয় নৌবাহিনী দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
দলত্যাগী আরেক নেতা মানস দাশগুপ্তও কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, জীবনের দীর্ঘ ৩৬ বছর দলকে সেবা করার পর আমি এখন কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিচ্ছি। এই দলটা এখন আর করা যায় না৷ প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার দলত্যাগের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের ভরসায় কংগ্রেস করতে অনীহা বাড়ছে নেতা–কর্মীদের৷ তাঁরা মনে করছেন, এই দল করে আর লাভ নেই৷
আরও পড়ুন-স্মার্ট সিটির দফারফা
সাম্প্রতিককালে ত্রিপুরা, গোয়া হয়ে এবার মেঘালয়, ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে ধীরে ধীরে ভাঙছে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্প বিরোধীশক্তি হিসেবে এই রাজ্যের নেতা-কর্মীরা আস্থা রাখছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই৷ তাঁদের মতে, দেশের বিরোধী রাজনীতির প্রধান মুখ এখন তৃণমূল নেত্রীই৷ তাই মেঘালয়ের মতো রাজ্যে কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল৷ সকলেই মনে করছেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারবে বাংলার শাসক দলই৷