প্রতিবেদন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের যে কোনওভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না ইউনুস সরকার, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। সেদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে জনপ্রিয় মুখ, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy krishna das) এবার নতুন একটি খুনের মামলার জালে জড়িয়ে দিয়ে তাঁর জেলমুক্তি অনিশ্চিত করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও পাল্টা মামলা দায়ের করে তাঁর জেল থেকে বেরোনো আটকানো হল। নতুন মামলায় তিনি গ্রেফতার বলে ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম আদালত। ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল আপাতত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy krishna das) জেল থেকে বেরোতে দিচ্ছে না প্রতিহিংসাপরায়ণ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন মঞ্জুর করে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। সেদিনই সন্ধ্যায় জামিনের বিরোধিতায় পাল্টা মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ প্রশাসন। রবিবার সেই মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। এখনও সেই মামলার শুনানি হয়নি। তার আগেই খুনের মামলায় যুক্ত করা হল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। এক্ষেত্রে এমন একটি মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে যুক্ত করে গ্রেফতারের আবেদন জানাল বাংলাদেশ পুলিশ, যে ঘটনার সময় তিনি নিজেই জেলবন্দি। গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে আইনজীবী আলিফ সাইফুলের মৃত্যু হয়। সেই মামলাতেই এবার হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে।
সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যার মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের আবেদন জানায় পুলিশ। মামলার শুনানি হয় ভার্চুয়ালি। তবে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী। মামলার খবর আদৌ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল কি না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই ভার্চুয়াল শুনানি শেষে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। প্রহসনের বিচারে নতুন করে খুনের মামলায় তাঁকে জড়িয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার ওয়েবসাইটে হামলা চালাল পাক হ্যাকাররা