প্রতিবেদন: মেগাস্টার সলমন খানকে ফের হত্যার চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেল। পানভেলে সলমনের খামারবাড়ির কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তারা খুনের চক্রান্তের কথা স্বীকারও করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে ফিল্মি দুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে মহারাষ্ট্রের গেরুয়া সরকারের নিস্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে। মাত্র কিছুদিন আগেই সলমনের মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে গুলি চালানো এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দফায় দফায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জানা যায়, তারা সকলেই জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর লোক। শনিবারের ধৃতরাও লরেন্সের গ্যাংয়ের লোক বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শাগরেদরা পাক অস্ত্র পাচারকারীর কাছ থেকে একে ৪৭ বন্দুক কিনে, সেই বন্দুক দিয়েই গুলি করে সলমনকে খুনের ছক কষেছিল। শনিবার, সম্ভবত রেইকি করার সময়ই তারা ধরা পড়ে যায় পানভেল পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন-পুণের পোর্শেকাণ্ড,গ্রেফতার ঘাতক নাবালকের মা
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নহভি, ধনঞ্জয় টাপসিং ওরফে অজয় কাশ্যপ, ওয়াপসি খান ওরফে চিকনা ও রিজওয়ান খান ওরফে জাভেদ খান নামে চার বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করে খুনের চক্রান্তের কথা জানা যায়। ধৃত চারজনের মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখেছে পুলিশ। যে খামারবাড়ির আশপাশে সলমনকে মারার পরিকল্পনা হয়, সেখানে আগে রেইকি করে অভিযুক্তরা। পুলিশের দাবি, জেরায় অজয় কাশ্যপ স্বীকার করেছে, পাকিস্তানের ডোগা নামে এক অস্ত্র পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এম ১৬, একে ৪৭ এবং একে ৯২ রাইফেল কেনার বরাত দেওয়া হয়।
পানভেল থানার পুলিশ জানায়, একটি ভিডিও ফুটেজ তাদের কাছে এসেছে, যেখানে কাশ্যপ তার সঙ্গীকে বলছে, সলমন খানকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। কানাডার গোল্ডি ব্রারের কাছ থেকে অর্থ এবং অস্ত্র এসে পৌঁছলেই অ্যাকশন হবে।
পুলিশের দাবি, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে সল্লু মিয়াকে খুন করতে পারলেই লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রার শ্যুটারদের বিরাট অঙ্কের অর্থ দেবে বলে টোপ দিয়েছিল। লক্ষণীয়, ১৪ এপ্রিল দুই বাইক আরোহী সলমনের মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল। ভিকি গুপ্তা, সাগর পাল এবং পাঞ্জাব থেকে অনুজ থাপানকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১ মে একজনের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়। খুনের চক্রান্তের অভিযোগে লরেন্স বিষ্ণোই, আনমোল বিষ্ণোই, সম্পত নেহরা, গোল্ডি ব্রার-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নভি মুম্বই পুলিশ। সলমনের উপরে আবার হামলার চক্রান্তের খবরে এখন উদ্বেগের ঝড় সাধারণ মানুষের মনে।