প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল, শুধু জরুরি পরিষেবা নয়, সমস্তরকম চিকিৎসা পরিষেবায় এবার ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সেই নির্দেশকে তুড়ি মেরে ফের কর্মবিরতির পথেই ফিরলেন তাঁরা। নতুন করে ১০ দফা দাবিতে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিলেন। এর ফলে ফের ভোগান্তির আশঙ্কায় রোগী ও রোগীর পরিজনরা। আবার শুধু কর্মবিরতি ডেকেই ক্ষান্ত নন জুনিয়র ডাক্তাররা, তাঁরা স্বাক্ষর করেও এখন ডিগবাজি খাচ্ছেন। ময়নাতদন্তে স্বাক্ষর করেও এখন দায় এড়াচ্ছেন। ডাক্তারদের একাংশ এবার দাবি তুলেছেন, যে জুনিয়র চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের সময় হাজির ছিলেন, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক, অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন- কাল জাগোবাংলা উৎসব সংখ্যার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
জুনিয়র চিকিৎসকেরা পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হেঁটে এখন দাবি করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ময়নাতদন্তে সম্মতি জানালেও তার ফলাফলের কোনও দায় জুনিয়র ডাক্তারদের নেই। তারই পাল্টা তৃণমূল নেতা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ময়নাতদন্তের যে নথি সামনে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে চার দফা শর্ত দেওয়া হয়েছিল। আরজি করে ময়নাতদন্তে জুনিয়র ডাক্তারদের সই রয়েছে। যাঁরা আন্দোলনে রয়েছেন, তাঁরা আবার কলেজ কমিটিতেও রয়েছেন। দেয়াল ভাঙার ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে সেই কাজ হয়েছে। সেখানেও জুনিয়র ডাক্তারদের সই রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা তাঁদের সই আছে মেনে নিলেও বলছেন তদন্তের ভাল-মন্দের দায়িত্ব আমরা নেব না। এটা সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা। যে-সমস্ত চিকিৎসকের সই ছিল, সিবিআইয়ের উচিত তাঁদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। জুনিয়ার ডাক্তারদের একাংশও সেই একই দাবি তুলেছেন। কুণাল আরও বলেন, যে-জুনিয়র ডাক্তাররা সই করেছিলেন, তাঁরা মিডিয়াকে বলুন, নথিতে সই আসল না ভুয়ো? আসল হলে এসব নিয়ে কুৎসার জবাবে নীরব কেন? সই মানে তো উপস্থিতি, সঠিকের মান্যতা। আপনারাই আবার প্রতিবাদী। আবার আরজি করের কমিটিতেও আপনারা, কীভাবে? রাজ্যে কঠিন বন্যাপরিস্থিতি আবার উৎসব। এই সময় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়ায় তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কর্মবিরতি কারা করছেন, কাদের পরামর্শে করছেন, কেন করছেন? সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি পরিষেবা নিতে হাসপাতালে যান, আপনারা তাঁদের বাধ্য করছেন বেসরকারি নার্সিংহোমে বেশি খরচ করে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। কাদের বুদ্ধিতে, কোন উদ্দেশ্যে?