প্রতিবেদন : দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে উদ্বেগজনক, তা স্পষ্ট বোঝা গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পদক্ষেপে। ঠিক ৩৪ দিনের মাথায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি ফের বাড়াল রিজার্ভ রেপো রেট (RBI Repo Rate)। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (RBI Governor Shaktikanta Das) জানিয়েছেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন রেপো রেট বেড়ে দাঁড়াল ৪.৯ শতাংশ। এর আগে আচমকাই গত ৪ মে রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪.৪ শতাংশ করা হয়েছিল। আরিআইয়ের বক্তব্য, অতিমারি এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। পরিস্থিতি মাথায় রেখে মেপে মেপে পা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বৃদ্ধি ও বিকাশে যাতে কোনওরকম আঁচ না-লাগে সেদিকে নজর রেখেই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই সুনীলই ত্রাতা ভারতের
অর্থনীতিবিদদের মতে, জ্বালানির দাম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। ধস নেমেছে শেয়ার বাজারেও। পরিস্থিতি সামাল দিতেই রেপো রেট ফের বাড়ল। আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের জেরে মধ্যবিত্তের জীবন আরও দুর্বিষহ হবে। কারণ, রেপো রেট (RBI Repo Rate)) বাড়লে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই গৃহঋণ থেকে শুরু করে গাডি়ঋণ, সবক্ষেত্রেই পড়ে প্রভাব। বাড়ে সুদের হার। ব্যাঙ্কগুলির কাছে গ্রাহকদের উপর চড়া সুদ বসানো ছাড়া পথ থাকে না। কারণ, যে সুদের হারে আরবিআই অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা দেয়, সেটাই রেপো রেট। আর যে সুদের হারে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাকা নেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। আরবিআইয়ের রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জেরে এদিন ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্সের সূচক ছিল ৫৪,৮৯২.৪৯। সবমিলিয়ে সেনসেক্সের পতন হয়েছে ২১৪.৮৫ আর ৬০.১০ পয়েন্ট কমে নিফটির সূচক দাঁড়িয়েছে ১৬,৩৫৬.২৫। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আঘাতের ফল হতে পারে মারাত্মক। আরবিআইয়ের পদক্ষেপে জাতীয় অর্থনীতিতে গভীর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা।