প্রতিবেদন : অব কি বার, ২০০ পার! তাঁর স্লোগান ছুঁড়ে ফেলেছে বাংলার মানুষ। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তারপর থেকে আর এমুখো হননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও (JP Nadda)। একের পর এক নির্বাচনে মুখ পোড়ানো গেরুয়াশিবিরে এখন মুষলপর্ব। ‘ট্রেনি’ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উপেক্ষা করেই দিল্লির সঙ্গে সমান্তরাল সম্পর্ক রেখে চলেছেন বিরোধী দলনেতা ‘পেগাসাস’ অধিকারী। লক্ষ্য, ক্ষমতার কেন্দ্রে আসা। যদিও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ আর বিতর্কের মধ্যমণি ‘লোডশেডিং’ বিধায়ককে দলের মুখ করতে অস্বস্তি রয়েছে নেতৃত্বের। অন্যদিকে পুরনো বিজেপি নেতারা কেউ বসে গিয়েছেন, কাউকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, কেউ বা আবার মর্যাদা পেতে দলত্যাগ করেছেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে পাহাড়ে, বিজেপির সমর্থনে ব্যাপক ধস নেমেছে। ভেঙে গিয়েছে জঙ্গলমহল সহ আদিবাসী এলাকায় সংগঠন। সামগ্রিকতার নিরিখে হাঁড়ির হাল বঙ্গবিজেপির।
আরও পড়ুন-বিক্ষোভের চাপে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কায়
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, ভাঙা দল জোড়া লাগিয়ে সচল করতেই এবার দু’দিনের বাংলা সফরে আসছেন অমিত শাহ। এপ্রিলের ১৬ ও ১৭ তারিখ বাংলায় থাকবেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির তাকতে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (HM Amit Shah)। সেই ফাঁকেই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। দলের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাজ্য নেতাদের সঙ্গেও আলাদা ভাবে আলোচনা সারবেন। সম্ভাবনা, সংগঠন পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় নামবেন নাড্ডাও (JP Nadda)। যদিও এত কিছুর পরে মুরলীধর সেন লেনের ম্যানেজাররা রাতারাতি বিড়াল থেকে বাঘ হয়ে যাবেন, এমন সম্ভাবনা নেই। সম্ভাব্য শাহি সফর প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যথার্থই বলেছেন। তাঁর কথায়, বাংলায় এসে বিজেপির কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তা নিয়ে অমিত শাহ যেন কনফিউজড না-হয়ে যান। কারণ, বাংলায় এখন অনেকরকম বিজেপি। আদি বিজেপি, নব্য বিজেপি, পরিযায়ী বিজেপি, সাময়িক বিজেপি ও তৎকাল বিজেপি। অমিত শাহ তাঁদের আলাদা টেবিলে বসিয়ে জোন ভাগ করে নিলে, আমার মনে হয়, অসুবিধা হবে না।