প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিউপোল শহরে সামরিক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই শহর থেকে সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সাময়িক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও এদিনও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। তুরস্কের আলোচনা মেনে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Ukraine- Russia) দুই শহর থেকে সরানোর কথা জানালেও তারা আদৌ সেনা সরাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের আশঙ্কা, এই ধরনের প্রস্তাব দিয়ে রাশিয়া আসলে নতুন কোনও পরিকল্পনা করছে। এরইমধ্যে রাশিয়ার পক্ষ থেকে নতুন করে আলোচনা শুরু করার কথা অস্বীকার করা হয়নি। বরং মস্কো জানিয়েছে, ফের দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা চলতি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন।
আরও পড়ুন: বিপদ বুঝে শহিদ হওয়ার নাটক!
এরইমধ্যে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এই যুদ্ধ বন্ধ করতে এগিয়ে আসার জন্য ভারতকে আহ্বান জানালেন। কুলেবা জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এগিয়ে আসেন তবে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল। সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে মোদি যদি এই যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করেন তাহলে খুবই ভাল হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও ইউক্রেন এই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে ভারতের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিল। পাশাপাশি কুলেবা রুশ প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পৃথিবীতে পুতিনই হচ্ছেন একমাত্র মানুষ যিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান। রাশিয়ার যাবতীয় সিদ্ধান্ত একাই নিয়ে থাকেন পুতিন। তাই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে একমাত্র পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর এই প্রথম রাশিয়ার কোন শীর্ষ মন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। একই সঙ্গে এদিন ভারতে এসে পৌঁছেছেন ব্রিটেনের বিদেশসচিব এলিজাবেথ ট্রুস। বিদেশসচিব ট্রুস এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মুখোমুখি হন। এদিন পুতিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, গ্যাস ও তেলের দাম রুবেলে মেটানো না হলে তাঁরা কোনও দেশকেই তেল বা গ্যাস বিক্রি করবেন না। অন্যদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এদিন বলেছেন, রাশিয়ার (Ukraine- Russia) বিরুদ্ধে যদি অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না যায় তাহলে অন্য দেশগুলিকে যুদ্ধে উৎসাহিত করা হবে। অন্যান্য দেশ তাদের প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত হবে। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও অধিক বিধিনিষেধ আরোপের আর্জি জানান জেলেনস্কি।