সংবাদদাতা, সন্দেশখালি : ভোট মিটেছে রাজ্যে। আর তার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিজেপির গুন্ডাগিরি। ভোটে তৃণমূলের পক্ষে মানুষের সমর্থন দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বিজেপির। আর তাতেই এবার সন্ত্রাসের রাস্তা ধরেছে গেরুয়া বাহিনী। রবিবার ফের সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) উত্তপ্ত করার চেষ্টা করল বিজেপির। মহিলাদের উসকানি ও প্ররোচনা দিয়ে সন্দেশখালিতে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। শনিবার ভোটপর্বের শেষদিকে সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ করে অশান্তি-গন্ডগোল পাকানো হয়। আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। গন্ডগোলের জেরে বেড়মজুরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় রবিবার ওই এলাকার এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সন্দেশখালির ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি পর্যন্ত জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। কারণ, এলাকা শান্ত আছে, উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আছে। কিন্তু তাকে অশান্ত করার জন্য বিরোধীরা বারবার উসকানি ও প্ররোচনা দিচ্ছে। সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বিজেপির নোংরা চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে, নারী নির্যাতনের ভুয়ো সাজানো নাটকের অভিযোগ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তাই মরিয়া হয়ে বিজেপি ভোটের পরও ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। পরিকল্পিতভাবে উসকানি ও প্ররোচনা দিয়ে সন্দেশখালিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তাঁরা। তাই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন- বেলাগাম ঘৃণা ভাষণ ওদের সিগনেচার মার্ক
ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালি থানায় একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা লাগাতার বৈঠক করেছেন। ন্যাজাট থানা ও রাজবাড়ি আউটপোস্ট থেকে বিভিন্ন উত্তেজনাপ্রবণ জায়গায় পুলিশ ও র্যা ফ মোতায়ন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এদিন সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজবাড়ি, আগারহাটি মণ্ডলপাড়া এলাকা। ভোটের দিন পুলিশকে আক্রমণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গেলে বিজেপির মহিলা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশের হাত থেকে গ্রেফতার করা একজনকে ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকেরা। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।