প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) শেষবেলায় তৃণমূলের (TMC) প্রচার উঠেছিল তুঙ্গে। তৃণমূলের প্রচার চলাকালীন জেনেশুনেই নন্দীগ্রামে ঢুকে পড়ে লোডশেডিংয়ে জিতে আসা তথাকথিত বিরোধী দলনেতা গদ্দার অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের এই রূপ অবশ্য আগে দেখেনি গদ্দার। প্রচারের টানটান উত্তেজনায় মানুষ যখন বুঁদ, তখন হঠাৎ গদ্দারের কনভয় ঢোকে। তাকে দেখেই ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ ও কিছু কর্মী স্লোগান দিতে শুরু করেন, চোর-চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। গোটা বাজারের ভিড়ে এই স্লোগান শুনে গদ্দার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। ভিড় পেরিয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় যাওয়ার পরেই ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ার মতো গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করতে থাকে লোডশেডিং অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এটাই তার স্বভাবসিদ্ধ। এটাই সে করে থাকে। আগেও এমন ভিডিও প্রকাশ্যে এলেও এতটুকু লজ্জিত হয়নি। বুঝিয়ে দিয়েছে, এই সংস্কৃতি তার মজ্জায়। কিন্তু সেসব শুনে এলাকার মানুষ আরও রেগে গিয়ে পাল্টা পাগল, ছিটিয়াল সহ আরও অনেক শব্দবাণ ছুঁড়ে দেন। ঘটনার পরে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নির্ধারিত সভা নির্ধারিত সময়ে শেষ করে। কিছুক্ষণ আগে ওই জায়গাতেই বক্তব্য রাখেন মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার শেষবেলার এই কর্মসূচিতে যে নেতৃত্ব ছিলেন, তাঁরা হলেন, বাপ্পাদিত্য গর্গ, অয়ন চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ, রুমা চক্রবর্তী এবং কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- অশান্তি অতীত, পাহাড় এখন হাসছে