ফের বৈঠকে রাজি জানিয়েও শর্ত পেশ

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বৈঠকে বেনজির উত্তপ্ত কথোপকথনের জেরে মার্কিন সফর ভন্ডুল হলেও ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সংহতি জানিয়েছে জেলেনস্কির প্রতি।

Must read

প্রতিবেদন: ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বৈঠকে বেনজির উত্তপ্ত কথোপকথনের জেরে মার্কিন সফর ভন্ডুল হলেও ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সংহতি জানিয়েছে জেলেনস্কির প্রতি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন মিত্র দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। তবে অন্যান্য দেশের সংহতি প্রকাশের অর্থ যে আমেরিকার বিরোধিতা করা নয় এবার তাও স্পষ্ট করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজে। মিত্রশক্তিদের সঙ্গে একমত হয়ে তাঁর দাবি, নিঃশর্ত শান্তি ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তা চাই।

আরও পড়ুন-১৯০১ সালের পর ভারতে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি কাটল

রবিবারই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত একাধিক দেশ সহ তুরস্ক, কানাডার রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে বসেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন কিয়ের স্টার্মার ও এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। বৈঠকের পরে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে দেন, ইউক্রেন তার সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে একযোগে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি করছে রাশিয়ার থেকে। তবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বেনজির বাকযুদ্ধের পরে বিশ্ব রাজনীতিতে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততার পরিবেশের অভিঘাত ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বৈঠক শেষে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকের পথ এখনও খোলা রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে জেলেনস্কিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন আমেরিকার জনগণ ও প্রেসিডেন্টের প্রতি। তাঁর বার্তা, আমেরিকার সহযোগিতা কোনও অংশে খাটো করার দেখার প্রশ্নই নেই। এমন কোনও দিন যায়নি যেদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেনি ইউক্রেন।
এর পাশাপাশি ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে দেন যে রাশিয়ার থেকে নিঃশর্ত নিরাপত্তা গোটা বিশ্ব চাইছে। ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বদলে যে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প জেলেনস্কিকে দিতে চেয়েছিলেন, ট্রাম্পের সেই শর্তে আলোচনায় রাজি থাকলেও জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম করে ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।

Latest article