সৌমেন মল্লিক, জয়নগর: শীতকাল মানেই জয়নগরের মোয়া। আর সেরা মোয়া তৈরিতে লাগে কনকচূড় ধানের খই। এই ধানের জন্য মোয়া প্রস্তুতকারকদের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটতে হত। এই সমস্যা সমাধানে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের কৃষিবিভাগ আত্মা প্রকল্পের আওতায় ওঁদের হাতে দিয়েছিল কনকচূড় ধানের বীজ। সেই বীজই এবার জয়নগরে চাষ করা হয়েছিল। সেই ধান তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শীত পড়ে গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে মোয়া তৈরির প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন-বিজেপি জেলা সভাপতির নামে পড়ল চোর পোস্টার
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মোয়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। কয়েক মাস আগে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের বহডুক্ষেত্র, খাকুরদহ, রাজাপুর-করাবেগ এবং চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ জন মোয়া প্রস্তুতকারককে ধানের বীজ, ২৫ কেজি করে জৈবসার ও জৈব কীটনাশক দিয়েছিল ব্লক কৃষি বিভাগ। কনকচূড় ধানের চাষ মূলত হয় রায়দিঘির কাশীনগর, মন্দিরবাজারের লক্ষ্মীকান্তপুরে। সেখান থেকে ধান এনেই মোয়া তৈরি হত। এতে খরচও যেমন বেশি পড়ত, গুণমান বজায় রাখতেও সমস্যা হত।
আরও পড়ুন-সীমান্তবর্তী গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ শয্যার অন্তঃবিভাগ
ব্যবসায়ীরা জানান, মোয়ার গুণমান নির্ভর করে কনকচূড় ধানের উপর। বাজারে এই ধানের ঘাটতি থাকায় অনেকে অন্য ধানের খই দিয়ে মোয়া তৈরি করে। এর সমাধানে ব্লক কৃষিবিভাগ কনকচূড় ধানচাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সুফলও মেলে।
এক ব্যবসায়ীর কথায়, তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছিলাম। ভালই ফলন হয়েছে। আর দূরে ধান কিনতে যেতে হবে না। ধান তোলা শুরু হয়েছে। ধান রোদে ফেলে ও শিশিরে রেখে কড়াইয়ে বালিতে ভেজে খই হবে। সেই খই দিয়েই হবে মোয়া।