বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন কৃষিমন্ত্রী, কৃষকদের মারছে কেন্দ্র, বাঁচাচ্ছে রাজ্য

নরেন্দ্র মোদির মিথ্যাচার ঢাকতে এ রাজ্যে বিজেপি আর এক মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে৷ কৃষকদের দাবিদাওয়ার নামে মিথ্যাচার শুরু করেছে বিজেপি।

Must read

প্রশ্ন : বিজেপি বলছে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত। কতটা সত্যি?
কৃষিমন্ত্রী : পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত ৭৬ লক্ষ কৃষক প্রতি বছরে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন কৃষকবন্ধু প্রকল্পে। পাশাপাশি যেসব ভাগচাষি রয়েছেন, যাঁদের এই কাজ করার তথ্য প্রমাণ করা রয়েছে, তাঁদেরও চার হাজার থেকে দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সারা ভারতবর্ষে এ ধরনের প্রকল্প কোনও রাজ্যেই নেই। তাই বিজেপি যে কথা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কৃষকমৃত্যু নিয়েও তো বিজেপি রাজনীতি করছে৷

আরও পড়ুন-জিএসটি : ট্যুইটে সরব অমিত মিত্র

একদম ঠিক। বিজেপির কিছু ভুঁইফোঁড় নেতা তৈরি হয়েছে, যাঁরা গ্রামে গিয়ে এসব কথা বলছেন। কিন্তু কৃষক সমাজ তা গ্রহণ করেনি। মনে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি এ রাজ্যে ৬০ বছরের নিচে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ২ লাখ টাকা এককালীন অনুদান দেন। আবার যেসব কৃষকের বয়স ৬০ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন। এই প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে দুয়ারে সরকার থেকে।

আরও পড়ুন-শীতের সঙ্গে এবার বৃষ্টির পূর্বাভাস

আর টাকা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাঙ্কে।
বিজেপি বলছে সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযান হবে?
ওদের সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লির নেতারা এসে এখানে মিথ্যাচার করে গিয়েছেন তা প্রমাণিত। ওঁরা বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়বেন। আর এখন তাঁরা উধাও। বিজেপির ঘরে কোন্দল। নিজেরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। এরপর ওরা কোন লজ্জায় মিছিল করবে জানি না। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। বিজেপির এরাজ্যের নেতাদের উচিত গিমিক দেওয়া নয়। মিথ্যাচারের জন্য মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান।
কেন বিজেপি এসব করছে?
আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। বাংলার রাজনীতিতে ওরা এখন উচ্ছিষ্ট। অবিশ্বাস আর মিথ্যাচারই হচ্ছে ওদের অলঙ্কার। রাজনীতিতে ভেসে থাকার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

আরও পড়ুন-দলের ধমক খেয়ে ডিগবাজি

বিজেপির দাবি, কেন্দ্র এরাজ্যে কৃষকদের টাকা দিচ্ছে।
এসবও মিথ্যা। অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি কেন্দ্রের। কৃষকদের বোকা বানানো। আর তাই নিয়ে রাজনীতি করা। কেন্দ্রীয় সরকার তালিকা দিক না। এরাজ্যে কতজন কৃষককে অনুদান দিয়েছেন। আসলে এসবই মুখের কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেরে উঠছে না। তাই এ রাজ্যের বিজেপি ভুঁইফোঁড়েরা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বারে বারে বলছে তারা কৃষকদের টাকা দিচ্ছে?
আবারও বলছি, সবই মিথ্যা। কেন্দ্র এই টাকা দেওয়ার নামে যেসব শর্ত দিয়েছে তাতে কারও পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আর ওদের টাকার পরিমাণ আবার ২ হাজার টাকা। যে সব কৃষকের মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল ফোন আছে তাঁদেরই এই সহায়তা দেওয়া হবে না। এখন কোন ভাগচাষি থেকে শুরু করে কৃষকের ঘরে এইসব জিনিস নেই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্পে এ ধরনের কোনও শর্তই নেই। পার্থক্য এখানে।
ইয়াসের পর কেন্দ্র কী সাহায্য দিয়েছে?
অনেক ঘটা করে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। হিসাব নিয়ে গিয়েছেন। আমরাও পাঠিয়েছি। ২৫০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি ছিল কৃষকদের। ২০২১ সাল প্রায় শেষ। আজ পর্যন্ত কোনও টাকা ঢোকেনি ওই খাতে। এটাই তো কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য। বিজেপি কি এসবের জবাব দেবে? নাকি ঘোলাজলে মাছ ধরবে?

আরও পড়ুন-বাঙালি কাঁকড়াদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিজেপির পার্টি অফিস, ক্ষোভ বাবুল সুপ্রিয়র

নরেন্দ্র মোদির মিথ্যাচার ঢাকতে এ রাজ্যে বিজেপি আর এক মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে৷ কৃষকদের দাবিদাওয়ার নামে মিথ্যাচার শুরু করেছে বিজেপি। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের কৃষকদের আগলে রেখেছেন। তাঁর ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্প কৃষকদের বেঁচে থাকার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। মনে রাখবেন, বাম আমলের মতো এ রাজ্যের কৃষকদের এখন আর ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করতে হয় না। আর বিজেপি এসব মেনে নিতে পারছে না। তাই মিথ্যাচার। কী সেই মিথ্যাচার? এসব প্রশ্ন নিয়েই কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়–এর মুখোমুখি জাগোবাংলা-র মুখ্যসাংবাদিক অশোক ভট্টাচার্য

Latest article