সংবাদদাতা, কাটোয়া : করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হতে কাটোয়া-আমোদপুর ভায়া লাভপুর শাখাতেও একজোড়া লোকাল চলতে শুরু করে। কিছুদিন বাদেই অবশ্য রহস্যময় কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন ৫২ কিমি দীর্ঘ রেলপথ লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ যাত্রী, হকার, ব্যবসায়ীরা। বহু চিঠিচাপাটি, আবেদন-নিবেদনের জেরে ছ’মাস বন্ধ থাকার পর ট্রেনটি ফের চালু হওয়ায় স্বস্তি।
আরও পড়ুন-বর্ষবরণে মহানগরে বৃষ্টি নয়, জানাল হাওয়া অফিস
কাটোয়ার স্টেশন ম্যানেজার অরূপ সরকার বললেন, ‘‘যাত্রীসাধারণের কথা চিন্তা করেই ট্রেনটি চালু হয়েছে।’’ এই রেলপথ লাগোয়া এলাকার বহু গ্রামের সঙ্গে বাস-যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল ট্রেনটি চালানোর দাবি তোলেন। সরব হন দুই বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও শেখ শাহনাওয়াজও।
আরও পড়ুন-বছর শেষেই ঝাড়গ্রামে পর্যটকের ঢল
ট্রেনটি পুরনো টাইমটেবিলে চালু হয়েছে। অর্থাৎ কাটোয়া থেকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ছেড়ে বেলা ১০টায় আমোদপুর পৌঁছচ্ছে। আবার ১০টা ২০ মিনিটে আমোদপুর থেকে ছেড়ে বেলা ১২টায় কাটোয়া পৌঁছচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, টাইমটেবিল বদল জরুরি। বাড়তি অন্তত তিনজোড়া ট্রেন এই লাইনে চালানো হোক। সঙ্গে হাওড়া থেকে নলহাটি, সাঁইথিয়া, আমোদপুর, লাভপুর, কাটোয়া, নবদ্বীপ হয়ে ফের হাওড়ামুখী একটি ট্রেন চালানো হোক। তাতে ভাল হবে। রেলের আয়ও বাড়বে। শুরুতে এই রেলপথটি ছিল ন্যারোগেজ। ২০১৩ সালে এই রেলপথটি ব্রডগেজে উন্নীত করার লক্ষ্যে ৩৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেল। ২০১৮ সালে ব্রডগেজের কাজ শেষ হয়। ট্রেন চলতে শুরু করে।