প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিমানবন্দর (airport) , জলবন্দর এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মাঙ্কিপক্স (এমপক্স) লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা উল্লেখ করে কেন্দ্র বলেছে, এমপক্স সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমপক্স রোগীদের কোয়ারেন্টাইন এবং চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে মূল সুবিধা হিসাবে তিনটি সরকার-চালিত হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছে। এমপক্সের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলি হল রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদরজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতাল। কেন্দ্র সমস্ত রাজ্যকে এমপক্স কেস চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখতে বলেছে। বলা হচ্ছে, এই হাসপাতালগুলিকে নোডাল কেন্দ্র হিসেবে মনোনীত করা উচিত এবং তার মাধ্যমে জনসাধারণকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করা হবে।
আরও পড়ুন-সমাবেশ সফলের আহ্বান-মিছিল যেন জনসমুদ্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পি কে মিশ্র তাৎক্ষণিক শনাক্তকরণ ও উন্নত নজরদারির মাধ্যমে এমপক্সের জন্য দেশের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে গত রবিবার একটি বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশ থেকে কোনও এমপক্সের ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আফ্রিকার অনেক অংশে ছড়িয়ে পড়া এবং এর বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে এমপক্সকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।