প্রতিবেদন: অশান্তির আগুনে বিধ্বস্ত মধ্য এশিয়া। ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন সংঘাতের পর এবার দ্বন্দ্বের আরেক কেন্দ্র ইরান। তেহরানের মিসাইল হামলার পর এবার বদলার পথে নেতানিয়াহুর দেশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ও ইজরায়েলের মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠছে খোমেইনির দেশ। ইরানের ইসাফাহান শহরের বিমানবন্দরের কাছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইরাক ও সিরিয়াতেও আঘাত হেনেছে ইজরায়েল। আর এই এয়ারস্ট্রাইকেই কার্যত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশুভ ইঙ্গিত দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইজরায়েলের প্রত্যাঘাতের পরই ইরানের এয়ারস্পেস দিয়ে যাওয়া একাধিক বিমানের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নজিরবিহীন! পৃথক প্রশাসনের দাবিতে, ভোট বয়কট নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায়
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইরানের মিসাইল হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইজরায়েল। হামলা ও পাল্টা হামলায় ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এ-মাসের শুরুতে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইজরায়েল। সেই হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের শীর্ষকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তি। ওই এয়ারস্ট্রাইকের পরই ইরান জানায়, তারা সমুচিত জবাব দেবে। ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা জারি করেই ইজরায়েলের উপর প্রায় ২০০টি মিসাইল ছোঁড়ে ইরানি সেনা। তেল আভিভ সেই হামলা রুখে দিলেও প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি প্রমাণ করেই এয়ারস্ট্রাইক চালাল ইজরায়েল। ইরানের ইসাফাহান শহরে একাধিক পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে, তাই এই শহরকেই ইজরায়েলি সেনা টার্গেট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের এলিট মিলিটারি ফোর্স ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পসের তরফে সব বেস ক্যাম্পে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।