জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা এদিন গর্জে উঠলেন গেরুয়া কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতিহিংসা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেট যে আসলে একটা মস্ত প্রহসন, তা বুঝিয়ে দেন বক্তারা। লড়াইয়ের ডাক দেন গেরুয়া কেন্দ্র এবং মিথ্যাচারী বিজেপির বিরুদ্ধে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে বললেন, এই বাজেট অন্তর্বর্তী নয়, অন্তঃসারশূন্য। কেন্দ্রের সরকার বুঝে গিয়েছে এই সরকার আর ক্ষমতায় আসবে না, বাজেটেই তার প্রতিফলন ঘটেছে। সাধারণভাবে এই বাজেট দেশের কোনও অংশের কোনও মানুষের উন্নতি করবে না। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা কেন্দ্রকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে মন্তব্য করলেন, বিজেপি বাধ্য করেছে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে রাস্তায় নামতে। আপনারা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় বিশ্বাস করেন না। আপনাদের ধিক্কার। বিজেপি সরকার ধর্ষক নেতাদের সংসদে বসিয়ে রাখে। আর বিলকিস বানোরা ধর্ষিত হন। অভিযুক্তরা ধরা পড়ে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিধায়ক লাভলি মৈত্রও। তাঁর কথায়, বাংলার প্রতিটি মহিলা গর্বিত যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে বাংলার মহিলারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এছাড়াও কেন্দ্র এবং বিজেপিকে তুলোধোনা করেন বিধায়ক অদিতি মুন্সি, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি শাসন চালানোর ষড়যন্ত্র মোদি সরকারের, শঙ্কা ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’-এ
শুক্রবারের ধরনার শেষ পর্যায় জমে ওঠে গানের সুরে। ধরনা মঞ্চে উঠল সুরের ঝংকার। নেত্রীর সামনেই গিটার বাজিয়ে গান পরিবেশন করল তৃণমূল যুবদের ‘জয়ী’ ব্যান্ড। গান ধরলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ। গলা মেলালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শেষ মুহূর্তে মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, রাজন্যা হালদার, দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ অন্যরা। গানের মধ্যে দিয়েই ধ্বনিত হয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের সুর, লড়াইয়ের শপথ।