শুধুমাত্র আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে (Al Falah university) নাশকতার পিঠস্থান তৈরি করাই নয়, এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক বিনিয়মের মধ্যে চলছিল। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপের তদন্তে রয়েছে ইডি। সেই সূত্রে এবার গ্রেফতার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান জাওয়েদ আহমেদ সিদ্দিকী।
একটি দাতব্য সংস্থা গঠন করে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah university) প্রতিষ্ঠিত হলেও ৯০-এর দশকে হঠাৎই ফুলে ভেঁপে ওঠে এর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তার পিছনে প্রতিষ্ঠানের মিথ্যে প্রচার ও প্রতিশ্রুতিকেই দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। একদিকে ইউজিসি থেকে শিক্ষাগত মর্যাদায় যোগ্যতা অর্জনের কারণে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার মিথ্যে প্রচার করা হয়। অন্যদিকে ন্যাক-এর মিথ্যে স্বীকৃতির প্রচার করা হয়। তবে ইডির নজরে সবথেকে বেশি সন্দেহজনক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর আর্থিক তছরুপ।
আরও পড়ুন- দাম্পত্য কলহে শ্যুট আউট শিবপুরে! জখম মহিলা
ইডি-র তদন্তে উঠে আসে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর টাকা বিভিন্নভাবে পারিবারিক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয়। এই ট্রাস্টের টাকা সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতে ব্যবহার হয়েছে, এমনটাও সন্দেহ ইডির। ইতিমধ্যেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই সূত্রে প্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান জাওয়েদ আহমেদ সিদ্দিকীকে। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হলে ১৩ দিনের ইডি হেফাজত মঞ্জুর হয়।

