প্রতিবেদন : হিমালয়ের উপরের দিকে প্রবল বৃষ্টি। তার জেরে এবার বদ্রিনাথের তীর্থযাত্রীদের জন্য জারি হল সতর্কতা। সোমবার দুপুরের পর থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে অলকানন্দা নদী। পুলিশের পক্ষ থেতে লাগাতার মাইকিং করে নদীর ধারে না যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, বদ্রিনাথে সাম্প্রতিক মাস্টারপ্ল্যানের জন্য যে পাথর ভাঙা স্তূপ জমা হয়েছে অলকানন্দায়, তার জন্য আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন-মোদির প্রতি বিদ্রুপের তির কল্যাণের, দেড় বছরেই সাফ হবে এনডিএ
সম্প্রতি হিমালয়ে তুষারপাতের জেরে কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে তুষারধসের ছবি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। এবার প্রকৃতির রোষের মুখে বদ্রিনাথও। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা অলকানন্দা নদীর গভীরতা প্রায় ১৫ ফুট। সেইসঙ্গে প্রবল স্রোত। বদ্রির পার্শ্ববর্তী তপ্তপানি গরম জলের ধারা ইতিমধ্যেই অলকানন্দার তলায় চলে গিয়েছে। বদ্রি মন্দিরের পুরোহিতদের দাবি, পাহাড় ভাঙার সব আবর্জনা পড়ছে অলকানন্দায়। কয়েক বছর ধরে একইভাবে কাজ করেছে নির্মাণ সংস্থা। ফলে অলকানন্দার গভীরতা কমে গিয়েছে। তাতেই অল্প জল বাড়লেই নদী উপচে যাচ্ছে। বিপদের মধ্যে পড়ছে বদ্রিনাথ মন্দির। বারবার নির্মাণকারী সংস্থা ও প্রশাসনকে এভাবে কাজ করতে নিষেধ করার পরেও তাঁরা কানে নেননি বলে দাবি পুরোহিতদের। বদ্রি মাস্টারপ্ল্যানে যে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, জলস্তর বাড়ায় সেই নতুন রাস্তাও এখন জলের তলায়। জলস্তর বাড়ায় তপ্তকুণ্ড এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। বদ্রিনাথ মন্দির চত্বরে তীর্থযাত্রী ও স্থানীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বদ্রি মন্দিরের কয়েক মিটার নিচে থাকা ব্রহ্মকপাল এলাকাও ক্রমশ অলকানন্দার গ্রাসে যাওয়ার মুখে।