সুস্মিতা মণ্ডল, মগরাহাট : মগরাহাটের জোড়া খুনের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। পুলিশি তৎপরতায় ধরা পড়ল খুনের মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা। রবিবার সকালে গাড়ি করে পালানোর সময় টালিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের পরই গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত জানে আলম। পুলিশকে ফাঁকি দিতে নিজের মোবাইল ফোনটিও ফেলে দেয় সে। গত কয়েক ঘণ্টা সঙ্গীদের মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পুলিশের কড়া নজর এড়াতে পারেনি সে। ঘটনার পরই জানে আলমের মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। বেলা বারোটা নাগাদ টালিগঞ্জের চারুমার্কেট থানার পুলিশ টালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনে থেকে গাড়ি সমেত জানে আলম মোল্লাকে পাকড়াও করে। তাকে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার তাকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। জানে আলম গ্রেফতার হলেও খুনে ব্যবহৃত তার লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তলের খোঁজ এখনও মেলেনি। তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করতে চায় পুলিশ। জানে আলম ছাড়া খুনের সময় অন্য আর কেউ সেখানে ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত খুব বেশি জেরা করার সুযোগ হয়নি। প্রাথমিকভাবে পাওনা টাকা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে এই খুন বলেই জানা গিয়েছে।’’ রবিবার সকালেও থমথমে ছিল গোটা মাগুরপুকুর এলাকা। নিহত বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাখালের বাড়িতে আসেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও বিধায়ক নমিতা সাহা। মগরাহাট-২ ব্লক ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। বিডিও আর্থিক সাহায্য করেন দুটি পরিবারকে।