প্রতিবেদন : আড়িয়াদহ ভিডিও-কাণ্ডে যে রাজ্য প্রশাসক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) ও এডিজি মনোজ ভার্মা। এই ঘটনায় এদিন গ্রেফতার হয়েছে জয়ন্ত-ঘনিষ্ঠ লাল্টু ওরফে প্রসেন দাস। এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে এক নাবালককে বিবস্ত্র অবস্থায় মারা হচ্ছে। তাঁর গোপনাঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে চলছে অত্যাচার। ওই ভিডিওর ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রসেন ওরফে লাল্টুকে। এই প্রসঙ্গে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) বলেন, যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ২০২১ সালের। তিন বছর আগের নিগৃহীত ব্যক্তি একজন পুরুষ তিনি মহিলা নন। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচবার পাঁচটি ভিন্ন ঘটনায় জয়ন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলাপন আরও বলেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন আইনকানুন রক্ষার জন্য রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে সতর্ক করেছে। সেই সময়েই তিন বছরের পুরনো একটি ঘটনা নিয়ে, ঘটনায় নিগৃহীতের লিঙ্গপরিচয় বিকৃত করে, যেভাবে অশান্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে তাতে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন- শরদ-উদ্ধব-অখিলেশের সঙ্গে হবে বৈঠক, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মুম্বইয়ে মুখ্যমন্ত্রী
এডিজি মনোজ বর্মা বলেন, ধৃত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে জেরাও শুরু করা হয়েছে৷ তিন বছরের পুরনো ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাঁদের মধ্যে ৬ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। জয়ন্তর গ্রেফতারিতে সৌগত রায় যে হুমকি-ফোন পেয়েছেন, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উচ্চপর্যায়ে। সেই মতো পদক্ষেপের নির্দেশও পেয়েছেন তাঁরা।