রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান
উত্তর ভারতের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান। দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানে সওয়াই মাধোপুর জেলায় বিন্ধ্য এবং আরাবল্লি পাহাড়ে ঘেরা ১৩৩৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। একটা সময় জয়পুরের মহারাজাদের শিকারভূমি ছিল রণথম্ভোর। ১৯৮০ সালে এই অরণ্য জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘ রয়েছে এই অরণ্যেই। তাই উদ্যানে ঘুরলে বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে সেটা মূলত শীতকালে। কারণ ওই সময় সূর্যের আলো গায়ে মাখার জন্য ডোরাকাটা বাঘ জঙ্গলের বাইরে বেরোয়। হেলেদুলে অবাধে বিচরণ করে। দেখা যায় একেবারে সামনে থেকে। তবে তাদের বিরক্ত করলে মহাবিপদ। বজায় রাখতে হবে নিরাপদ দূরত্ব। বাঘ ছাড়াও আছে চিতা, নীলগাই, বুনো শূকর, সম্বর, চিতল হরিণ, লেজযুক্ত খরগোশ, বনবিড়াল, শ্লথ ভল্লুক, কুমির, ময়ূর ও পাখি। অরণ্যের ভিতরে রয়েছে কয়েকটি সুন্দর জলাশয়। বন্যপ্রাণীরা জল খেতে আসে। রয়েছে পাহাড়ি জৈনমন্দির, কালা গৌরমন্দির এবং অমরেশ্বর মহাদেবের মতো কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। এছাড়াও আছে প্রাচীন বটগাছ, রণথম্ভোর দুর্গ, রাজবাগ যোগী মহল। ওয়ার্ল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফির জন্য এই উদ্যান আদর্শ জায়গা। অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে যে কোনও সময় যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক মেয়রের সমাধানে ব্যবস্থা, আজ থেকেই ন্যায্য মূল্যে মিলবে আলু
জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং এশিয়া মহাদেশেরও প্রথম অভয়ারণ্য হল উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট জাতীয় উদ্যান। নৈনিতাল এবং পৌড়ি গাড়োয়ালে অবস্থিত। ১৯৩৬ সালে অভয়ারণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫২০.৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। মূল উদ্দেশ্যে ছিল বিপন্ন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা। উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল বলা যায়। প্রথমে শুরু হয়েছিল ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসেবে। পরে জাতীয় উদ্যানে পরিণত হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত শিকারি এবং প্রকৃতিপ্রেমী জিম করবেটের নামে। এখানে প্রায় ৫০০ প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণী আছে। দেশের ইকোট্যুরিজমের অন্তর্গত। এই অরণ্যে পর্যটকদের জন্য যাবতীয় সুব্যবস্থা রয়েছে। তাই বছর বছর পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। রয়েছে পাহাড়, নদী, জলাভূমি, তৃণভূমি এবং একটি বিশাল হ্রদ। সমুদ্রতল থেকে গড় উচ্চতা ১,৩০০ থেকে ৪,০০০ ফিট। শীতকালে এই জাতীয় উদ্যান ঘুরতে ভাল লাগে। রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর দিনের উজ্জ্বল রোদ গায়ে মেখে জঙ্গল ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। এখানে বিভিন্ন প্যাকেজের জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা আছে। অন্যতম আকর্ষণ সাদা কুমির। এছাড়াও বাঘ, হাতি ইত্যাদির দেখা মেলে। ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
তাডোবা জাতীয় উদ্যান
মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় উদ্যান তাডোবা। পুরো নাম তাডোবা-আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ। জঙ্গলে প্রচুর প্রজাতির পশু, পাখি, সরীসৃপ থাকলেও সমস্ত স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছে ডোরা কাটা প্রাণী। এই অরণ্যকে বলা হয় দেশের ‘বাঘের রাজধানী’। কারণ এটাই দেশের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম। জঙ্গলের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। তাডোবা জাতীয় উদ্যান ভারতের ৪৭টি প্রকল্প বাঘ সংরক্ষণের একটি। নাগপুর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। বাঘ সংরক্ষণের এলাকার আয়তন ১,৭২৭ বর্গ কিলোমিটার। এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫৫ সালে। আন্ধেরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। ১৯৯৫ সালে এই দুই অভয়ারণ্য মিলে তৈরি হয় তাডোবা-আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ। তাডোবা নামটি এসেছে এই অঞ্চলের আদিবাসীদের দেবতা ‘তাডোবা’ বা ‘তারু’র নাম থেকে। এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া আন্ধেরি নদীর নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে ‘আন্ধেরি’ নামটি। তাডোবা-আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ তিনটি ফরেস্ট রেঞ্জে বিভক্ত। তাডোবা উত্তর রেঞ্জ, কোলসা দক্ষিণ রেঞ্জ এবং মোহারলি রেঞ্জ যা প্রথম দুটির মধ্যে অবস্থিত। উদ্যানে আছে দুটি হ্রদ এবং একটি নদী। সেগুন, পাইন, শিশু, নিম, বিজা, ধাউদা, হালদ, সালাই, শিমুল, তেন্ডু, বেহেড়া, শিরিষ, হিরদা, গঁদ, মহুয়া, অর্জুন, বাঁশ-সহ আরও বহু প্রজাতির গাছপালায় ছেয়ে রয়েছে গোটা বনাঞ্চল। বাঘ ছাড়াও এখানে দেখা মিলবে ভারতীয় চিতা, স্লথ ভল্লুক, গৌড়, নীলগাই, ঢোল, ডোরাকাটা হায়না, বন বিড়াল, ভাম বিড়াল, সম্বর হরিণ, দাগযুক্ত হরিণ, বার্কিং ডিয়ার, চিতল হরিণ, কুমির, ইন্ডিয়ান পাইথন, ইন্ডিয়ান কোবরা, গ্রে হেডেড ফিশ ঈগল, ক্রেস্টেড সর্প, ঈগল, ময়ূর, জুয়েল বিটল্স, নেকড়ে মাকড়সা-সহ বহু হিংস্র ও নিরীহ প্রাণীর। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। প্রাথমিকভাবে এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি প্রবেশদ্বার হল কোলারা গেট এবং মহুরলি গেট। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ জুন পর্যন্ত তাডোবা-আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ খোলা থাকে। এইসময় গরম থাকে কম। ভাল লাগে বেড়াতেও।
আরও পড়ুন-ভোটের ময়দানে ‘আনাড়ি’ পিকে, ৪ আসনেই হারল জন সুরজ দল
গির জাতীয় উদ্যান
গুজরাতের গির অরণ্য। এর সরকারি নাম গির জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। স্থাপিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। মোট আয়তন প্রায় ১৪১২ বর্গ কিলোমিটার। সোমনাথ থেকে ৪৩ কিলোমিটার বা ২৭ মাইল উত্তর-পূর্বে এবং জুনাগড় থেকে ৬৫ কিমি বা ৪০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এই অরণ্যের নিজস্ব আদিম চরিত্র আছে। গন্ধ, মাদকতা, রহস্যময়তার চরিত্র। সেই রুক্ষ, বন্য প্রাচীন আদিমতার মুখোমুখি হতে হলে অবশ্যই গির অরণ্যে বেড়াতে যেতে হবে। এই উদ্যানে পর্যটকরা যান মূলত সিংহ দেখার টানে। কারণ বিখ্যাত এশিয়াটিক সিংহের দেখা মেলে একমাত্র এখানেই। এ ছাড়াও আছে চিতাবাঘ, হরিণ-সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং পাখি। ২০১৫ সালে ১৪তম এশিয়াটিক সিংহ গণনায় গির অরণ্যে মোট ৫২৩টা সিংহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পুরুষ-মহিলা-শাবক, তিন ধরনের সিংহ-সিংহী মিলিয়ে। এই জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে জিপ সাফারি যেমন গা-ছমছমে, তেমনই তুমুল জনপ্রিয়। গভীর জঙ্গলের ভিতর এঁকেবেঁকে চলে যাওয়া কালো পিচের সরু রাস্তা দিয়ে জিপ-সাফারি করতে করতে সিংহের পাশাপাশি বিরাট পেখম তোলা বনময়ূরী এবং চঞ্চল হরিণীর দেখাও পাওয়া যেতে পারে। এখানে বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস। এপ্রিল-মে, এই দুই মাস এখানে খুবই গরম। যদিও বন্যজীবসমূহ দেখার এবং আলোকচিত্রের জন্য এটাই সেরা সময় গির অরণ্যে আসার। এছাড়া, প্রতি বছর ১৬ জুন থেকে ১৫ অক্টোবর অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান
অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের পলিগঠিত সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। এখানে একশৃঙ্গ গন্ডার সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। জঙ্গল সাফারির সময় দেখা মেলে তাদের। বিশ্বের মোট গন্ডারের দুই- তৃতীয়াংশ আছে এই জাতীয় উদ্যানে। এছাড়াও আছে বাঘ, হাতি ইত্যাদি। উড়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির পাখি। ইউনেস্কোর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম বেড়াতে গেলে গুয়াহাটির পাশাপাশি কাজিরাঙা মোটামুটি সকলের লিস্টেই থাকে। প্রতিবেশী রাজ্য হওয়ার সুবাদে এবং জঙ্গল সাফারির সুযোগ থাকায় বাঙালি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এখানে মূলত তিনটি রেঞ্জে জঙ্গল সাফারি হয়। বাগরি, কোহরা ও অগোরাতলি। জিপ সাফারি থেকে শুরু করে হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল পরিদর্শন, সবই হয়। হুড খোলা জিপে চেপে জঙ্গল সাফারি এক অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে। একশৃঙ্গ গন্ডার ছাড়াও কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হল এলিফ্যান্ট সাফারি। হাতির পিঠে চেপে ঘন সবুজ অরণ্যের মধ্য দিয়ে জঙ্গল সাফারি পর্যটকদের এক অন্য অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে। তবে, যে-রাস্তা দিয়ে জিপে চেপে জঙ্গল সাফারি করা হয়, সেখান দিয়ে এলিফ্যান্ট সাফারি হয় না। এলিফ্যান্ট সাফারির জন্য অনলাইনে অগ্রিম বুকিং করতে হয়। এছাড়া কাজিরাঙায় নৌকা করেও জঙ্গল সাফারি করা যায়। শীতের মরশুমে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়। এছাড়াও এখানে সারাবছর বিভিন্ন পাখির দেখা মেলে। বাঘ, হাতি, গন্ডার তো রয়েছেই। নৌকায় চেপে জঙ্গল সাফারিও করা যায়। এতে নদীর তীরের দৃশ্যও করা যায় লেন্সবন্দি। এছাড়া হেঁটেও ঘুরে দেখা যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। পানবাড়ি রিজার্ভ এবং কুকুরকাটা রিজার্ভ ফরেস্ট ট্রেকিং রুট পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
নাগরহোল জাতীয় উদ্যান
নাগরহোল জাতীয় উদ্যানটিকে ১৯৯৯ সালে ভারতের ৩৭তম টাইগার রিজার্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের অংশ। উদ্যানে রয়েছে সমৃদ্ধ বনভূমি, ছোট ছোট স্রোত, পাহাড়, উপত্যকা এবং জলপ্রপাত। ঘুরে বেড়ায় বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় হাতি, ভারতীয় চিতাবাঘ, চিতল এবং সম্বর হরিণ। এই জাতীয় উদ্যানে ২৫০ প্রজাতির পাখির বাস। বনভূমির পাখির বিশাল বৈচিত্র্যের পাশাপাশি কাবিনী নদীতে জলপাখির বিশাল সমাবেশ রয়েছে। উদ্যানে বার্ষিক ১৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এর জলের উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মণতীর্থ নদী, সরটি হোল, নাগর হোল, বালে হাল্লা, কাবিনী নদী, চারটি বহুবর্ষজীবী স্রোত, ৪৭টি মৌসুমি স্রোত, চারটি ছোট বহুবর্ষজীবী হ্রদ, ৪১টি কৃত্রিম ট্যাঙ্ক, বেশ কয়েকটি জলাভূমি, তারাকা বাঁধ এবং কাবিনী জলাধার। উদ্যানের নাম নাগা থেকে এসেছে, যার অর্থ সাপ এবং গর্ত স্রোতকে বোঝায়। একটা সময় উদ্যানটি ছিল মহীশূর রাজ্যের প্রাক্তন শাসক ওডেয়ার রাজবংশের রাজাদের জন্য একটি বিশেষ শিকারের সংরক্ষণাগার। এটি ১৯৫৫ সালে একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে স্থাপিত হয়েছিল। পরে এর এলাকা বাড়ানো হয়েছে। শীতের মরশুমে ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন-ছুটি-বৈষম্য নিয়ে সিআইএসএফের জওয়ানরা কোর্টে
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত। ১০৫ বর্গ কিলোমিটারের একটি মূল এলাকা এবং প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটারের একটি বাফার এলাকা নিয়ে গঠিত। এই জাতীয় উদ্যান রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের জন্য পরিচিত। এখানে বাঘের জনসংখ্যার ঘনত্ব ভারত তথা বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত। জাতীয় উদ্যানটি তিনটি প্রাথমিক অঞ্চলে বিভক্ত। টালা, মাগদি এবং বারমেরা। বাঘ দেখার সম্ভাবনার কারণে টালা সর্বাধিক সংখ্যক পর্যটককে আকর্ষণ করে। একটা সময় জাতীয় উদ্যানটি ছিল রেওয়া মহারাজার শিকার সংরক্ষণাগার। বর্তমানে সাদা বাঘের জন্য একটি বিখ্যাত প্রাকৃতিক কেন্দ্র। হোয়াইট টাইগার বর্তমানে বিশ্বের চিড়িয়াখানার একটি প্রধান আকর্ষণ। এখান থেকে একটু দূরে রেওয়াতে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে, সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত সাদা বাঘের শিকড় প্রোথিত রয়েছে বান্ধবগড়ে। ভূখণ্ডটি ভাঙা, পাথুরে পাহাড়ি শ্রেণি, মোটামুটিভাবে পূর্ব ও পশ্চিমে প্রবাহিত। জাতীয় উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ হল জিপ সাফারি। শীতের মরশুম বেড়ানোর আদর্শ সময়।