হোম ম্যানেজমেন্ট

‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ এই চর্বিতচর্বণ হামেশাই আমাদের কানে আসে। কিন্তু যিনি ময়দানে নামেন তিনিই বোঝেন আসল সমস্যা কোথায়। ঝক্কি যতই পোহান না কেন, হোম ম্যানেজমেন্টের আদি থেকে অন্তে রয়েছেন গৃহিণীরাই। কীভাবে সবার শখ-আহ্লাদ মিটিয়েও হবে সঞ্চয়, কীভাবে দৌড়বে সংসার সেই নিয়ে রইল গাইডলাইন। লিখছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

‘পুঁইমাচা’ গল্পে ক্ষেন্তির মা তাকে বকে, ‘মেয়েমানুষের আবার অত নোলা কিসের!’ আবার মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে শঙ্কিতও হয়, তার ‘অত্যন্ত অগোছালো, নিতান্ত নিরীহ এবং একটু অধিক মাত্রায় ভোজনপটু মেয়েটিকে কি অপরে ঠিক বুঝিবে?’ এই ভেবে। আসলে
বিভূতিভূষণ সাহিত্যের নারীরা খানাপিনায় বেশ পটু ছিল। নিজেরটা ভাল বুঝতে জানত তারা। আবার শরৎ-সাহিত্যে নারী নির্লোভ, ত্যাগী, উপবাসে অভ্যস্ত এবং কৃচ্ছ্রসাধনে দড়। এটাই বোধহয় শুধু তখন নয় সবসময়ই নারীর আর্দশ চরিত্র। টানাটানির সংসারে স্বামী-সন্তানের পাতে ডাল-ভাত দিয়ে নিজেরা ফ্যান খেয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করে খরচ কমানোর চেষ্টা যুগে যুগে করে গেছে মেয়েরা। সেসব নজির বারবার উঠে এসছে গল্প-উপন্যাস, সিনেমায় বা পারিবারিক স্মৃতিচারণে। কারণ সেই আদিকাল থেকে সংসারের এ টু জেড বা বলা যেতে পারে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ— সবটাই বাড়ির গৃহিণীদের হাতেই থাকে। সঞ্চয়ের পথে সবসময় মেয়েরাই ছিল অগ্রগণ্য। সংসার চালিয়েও দিনের শেষে তারা লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে টুক করে রেখে দিত একমুঠো খুচরো পয়সা। যেগুলো জমতেই থাকত বছরের পর বছর। আগেকার দিনে মা-ঠাকুরমাদের মধ্যে মুঠো তোলারও একটা রেওয়াজ ছিল খুব। প্রতি বেলায় রান্নার সময়ে কৌটো মেপে যখন চাল নেওয়া হত, তখন তা থেকে তাঁরা এক মুঠো চাল সরিয়ে রাখতেন অন্য একটি পাত্রে। এতে কারও ভাতে কম পড়ত না। কিন্তু একটু একটু করে জমে উঠত আর একটি চালের ভাণ্ডার। অজান্তে চাল ফুরিয়ে গেলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাজার যাওয়া না-হলে পরিস্থিতি সামাল দিত ওই মুঠোয় তোলা চাল। আসলে এই ট্রিকস আর টিপসেই সাদামাটা সংসারটা দারুণভাবে চালিয়ে দিতেন তাঁরা। সংসার থেকে সঞ্চয় গোটাটাই— ছিল তাঁদের করায়ত্ত।
আধুনিক যুগেও রোজগেরে গিন্নিরাই সঞ্চয়ী। তাই স্বামীর আয় হোক বা নিজের আয় শুরু থেকে শেষের বাজেট প্ল্যান, খরচ-খরচা, খাওয়া-পরা, অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব অনুষ্ঠান, সর্বোপরি সঞ্চয়— সবটাই তাঁদেরই দেখে নিতে হয়। ফ্রিজে দুটো মাছ থাকলে একবেলা মাছ খাওয়া থেকে বিরত থেকে সেই মাছ স্বামী-সন্তানকে দিয়ে একটা দিন ম্যানেজ হয়ে গেল ভেবে বড়ই খুশি হন মহিলারা। এক কথায়, হোম ম্যানেজমেন্টটা বিষয়টা মহিলাদের শিরা-উপশিরায়।
কমাতে হবে খরচ
হোম ম্যানেজমেন্টের প্রথম শর্ত খরচ কমানো। যদি যেমন আয় ঠিক তেমন ব্যয় করা যায় তাহলে সমস্যাই হয় না। কিন্তু আমরা সেটা করি না। আগে পরিবারে গড়ে ছয় থেকে দশটি সন্তান হতই আর রোজগেরে হতেন একজনই অর্থাৎ বাড়ির যিনি কর্তা। ফলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু যুগ বদলেছে। এখন ‘হম দো হমারে এক’-এর যুগ। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরি করেন ফলে সুষ্ঠুভাবে সংসার চলে যাওয়ারই কথা কিন্তু তা হয়নি। বেড়ে গেছে আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং। শুধু ছেলেপুলে মানুষ করতে নয়, এখন সেই লিভিং স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতেও হচ্ছে ফাটকা খরচ। আসলে ব্যয় যে পরিমাণে বেড়েছে, আয় সেই অনুযায়ী বাড়েনি। আর খাদ্যবস্তু, থেকে শুরু করে প্রতিটা জিনিসের বাজারদর আগুন হওয়ায় নামছে জীবনযাত্রার মান। তাহলে উপায়?

আরও পড়ুন-KIFF শুরু ৪ ডিসেম্বর থেকে, সিনে উৎসবের ফোকাস কান্ট্রি ফ্রান্স

প্ল্যানিং জরুরি
প্রশ্ন হল কম খরচে কীভাবে সংসার চালাবেন, বাচ্চার পড়াশুনোর ভার বহন করবেন এবং পাশাপাশি সঞ্চয়ই করবেন কেমন করে? সবটাই সুষ্ঠুভাবে করতে জরুরি হল প্ল্যানিং। আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে অন্তত পঞ্চাশভাগ। তারপর সংসার চালাতে গিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত থাকে যা সেই মুহূর্তেই নিতে হয় আগে থেকে প্ল্যানিং করে হয় না সেগুলো না হয় বাদ রইল।
কী করবেন
প্রথমেই যেটা করণীয় তা হল হিসেব কষে চলা। অনেকেই বলবেন অত হিসেব করা যায় না। তাহলে প্রশ্ন হল কেন যায় না? আপনি যখন খাবার খান তখন কি দু-থালা বা পাঁচ-থালা ভাত একসঙ্গে খেয়ে ফেলেন? বা দুটো জামা, দুটো শাড়ি একসঙ্গে পরে ফেলেন? তাহলে সংসার চালাতে গিয়ে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে কেন হবে? বাজেট থাকবে না কেন? শুধু বাজার-দোকান নয়, সবক্ষেত্রেই একটা বাজেট ফিক্সড করে নেওয়া জরুরি। এতে খরচ আপনা-আপনিই কমবে। একটা মাস গেলেই বুঝবেন খরচ কিন্তু কমেছে।
এই প্রজন্ম অর্থনীতির ভাষায় কনসাম্পশনে বিশ্বাসী। আগে কী হত? টাকা জমিয়ে শেষ বয়সে অবসরের পর কোনও ব্যক্তি জমি, বাড়ি, গাড়ি কিনতেন। যেটা হয়তো খুব একটা ভোগে আসত না তাঁদের। এই প্রজন্ম ঋণ করে হলেও তাদের শখ পূরণ করছে। চাকরি করতে করতেই সহজ কিস্তিতে বাড়ি, গাড়ি করে ফেলছে। অর্থনীতিতে বলছে এটাই নাকি সঠিক পন্থা। এর ফলে নাকি বিনিয়োগ বাড়ে, দেশের অর্থনীতির উন্নতি হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি ইংরেজিতে আরও একটা বড় কথা রয়েছে জানেন তো ‘cut your coat according to your cloth’. অর্থাৎ নিজের সামর্থ্য বুঝে চলুন। ঋণ করে শখ মেটাতে বা প্রয়োজনের জিনিসটা কিনতে গিয়ে অনেকেই বিরাট অঙ্কের দেনার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে বসে থাকেন। এটা কিন্তু বেশ বিপজ্জনক। কাজেই ঋণের কথা যখন ভাবছেন ভাল করে সবটা জেনে-বুঝে করুন এবং এমনভাবেই ঋণ নিন যাতে সেই ঋণের অর্থ শোধ করা আপনার বা আপনার স্বামীর সামর্থ্যের বাইরে না চলে যায়। কোনও মাসে ফাটকা কোনও অসুবিধেয় পড়লেও ওই টাকাটি দিতে সমস্যায় না পড়েন। মাসের শুরুতেই আগে কিস্তির টাকা সরিয়ে রাখুন। লোন করার আগে খুব ভাল করে দেখে-বুঝে তারপর এগোন। যতটা সহজ কিস্তিতে যাওয়া সম্ভব নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে ততটাই করুন।
আপনি যদি এমন কোনও পেশায় থাকেন যেখানে উপার্জনের স্থিরতা কম তাহলে আগেভাগেই মাসের ধারশোধের অর্থ সরিয়ে রাখতে থাকুন। এছাড়া নিজের ভবিষ্যৎ ভেবেও রাখুন কারণ বিপদে পড়লে একটা রাত হলেও নিজেকেই সামলাতে হবে।
এবার আপনি বা আপনার স্বামী সেই ঋণের টাকা বা ইএমআই শোধ করে বাড়ির আর পাঁচটা জরুরি খরচ সামলে গোটা সংসার চালিয়ে মাসের শেষ পাঁচটা হাজার টাকা বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন তাহলেই বুঝবেন সঞ্চয়ী গৃহিণী হিসেবে আপনি সফল হয়েছেন।
আর যদি আগে থেকেই কিছু বেঁচে যাওয়ার আশা না রেখে মাস মাইনের টাকা যখন আপনার হাতে এল তখনই তার থেকে একটা সামান্য অংশ হলেও তা তুলে অন্যত্র সরিয়ে রাখুন না। দেখবেন এতে সংসার খরচে বেশি কাটছাঁট না করেও সেই অল্প করে তুলে রাখা টাকা জমেই আপনার অজান্তেই তৈরি করে ফেলছে একটি তহবিল। যা ভবিষ্যতে যে-কোনও ছোট-বড় প্রয়োজনে কাজে লেগে যাবে।

আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে রাজ্যের যাত্রীসাথী অ্যাপ

নেসেসারি বনাম লাক্সারি
সংসারে কোনটা নেসেসারি আর কোনটা লাক্সারির তা আপনাকেই বুঝতে হবে। গৃহকর্তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ-বিষয়ে চোখ বন্ধ করেই শান্তি পান। ভাল থাকব, ভাল খাব, ভাল পরব— এই চক্করে মাসের শেষে টান পড়ে সংসারে যার ভোগান্তি গৃহিণীকেই সামাল দিতে হয়। তাই প্রথম থেকেই কোনটা নেসেসারি এবং কোনটা লাক্সারি তা আলাদা করে নিন। বাড়ির বা ফ্ল্যাটের মেনটেনেন্স, ইলেকট্রিক বিল, বাজার, মাসকাবার, বাচ্চার স্কুলের ফি, বাড়ির কাজের লোকের মাইনে, ফোন, ওয়াইফাই ইত্যাদি নেসেসারিগুলোর জন্য প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হিসেব করে তুলে রেখে তারপর অন্য কথা ভাবুন।
মাসের ইলেকট্রিক বিল যেহেতু আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী আসবে না সেহেতু প্রতিমাসে খামে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী একটা অ্যামাউন্ট তুলে রাখুন। এই নিয়মটা বাজার-দোকান সব ক্ষেত্রেই করুন। যেমন ধরুন মাসে যদি চারদিন বাজার করেন প্রতি সপ্তাহে একদিন। তাহলে সারামাসে কত টাকা খরচ হচ্ছে সেটা টোটাল হিসেব করে খামে ভরে রাখুন তার চেয়ে একটু বেশি রাখতে পারলে ভাল না হলে ততটুকুই রাখুন। এটা মাসকাবার বা অন্য খরচগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চেষ্টা করুন প্রতিমাসে ওর মধ্যেই খরচটা রাখতে।
যে কোনও রকম অপচয় কমাতে পারেন বাড়ির মহিলারাই। বিদ্যুৎ অপচয়, লাইট পাখা সময় সময় বন্ধ করে, এসি বন্ধ করে, ফ্রিজ বন্ধ রেখে অন্তত ৫% বিদ্যুৎ খরচ কমাতেই পারেন। ঘরে সাধারণ বালবের বদলে এলইডি আলো লাগালে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুতের জায়গায় অনেকে সৌরশক্তি ব্যবহার করেন। রান্নায় সোলার কুকার, ঘরে সোলার লাইট ব্যবহার করা যায়।
এবার হল লাক্সারি। যেমন বাইরে বেড়ানো, পার্টি, ইটিং আউট, নিমন্ত্রণ, উৎসব, অনুষ্ঠান— এগুলো কিন্তু অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করতে হবে অর্থাৎ কাটছাঁট করতে হলে এখান থেকেই করতে হবে।

আরও পড়ুন-বাল্মীকি প্রতিভা

খরচ কমান সহজে
মাসকাবারি বাজার করতে বড় বড় শপিংমলগুলোয় নজর রাখুন। সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন তারা প্রচুর অফার দেয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে। সেই দিনগুলোয় কেনাকাটা সারতে পারেন।
গ্যাসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। রান্নার সময় কমিয়েও টাকা সাশ্রয় করতে পারেন। তাই প্রেশার কুকারের ব্যবহার বাড়ান। ঢাকা-চাপা দিয়ে রান্না করলে খরচে অনেকটা রাশ টানা যায়।
গ্যাজেট ফ্রেন্ডলি যত হবেন সংসার কিন্তু বাজেট ফ্রেন্ডলি ভাবে চালাতে পারবেন না তাই অত্যাধুনিক গ্যাজেটে কম অভ্যস্ত হন। মোবাইল কেনার শখ প্রতিটা মানুষের। বাড়ির উপার্জনক্ষম সদস্যদের একটা বদলে আর একটা মোবাইল কেনার অভ্যেস থাকলে বুঝিয়ে তা বন্ধ করুন।
বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগে। প্রতিমাসে খরচ থেকেই একটু টাকা সরিয়ে রাখতেই পারেন। বেড়াতে গেলে চেষ্টা করুন গ্রুপে যেতে। এতে কিছু খরচ সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে এবং বেড়ানোও হবে খরচটাও কমবে।
প্রত্যেক ছুটির দিন বা সপ্তাহান্তেই কি বাইরে খেতে যাওয়ার ব্যাপার রয়েছে? পরিবারের অন্য সদস্যরা কি বাইরে খেতেই পছন্দ করেন? এতে কিন্তু অনেকটা টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এটায় লাগাম টানলে ভালই হবে বরং নতুন নতুন পদ বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন না! ইউটিউবের দৌলতে এখন সবটাই সম্ভব। এতে খরচও কমবে। ছুটির দিনটা মজায় কাটবে।
অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন। অনলাইন শপিং মানুষের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হল অনলাইনে টাকার ট্রানজাকশন। যখন তখন পেমেন্ট করে দেওয়া সম্ভব ফলে বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই অনলাইন পরিষেবাগুলোকে কম ব্যবহার করলে অনেক ফাটকা খরচ হওয়া আটকাবে।

আরও পড়ুন-সুহানির স্বপ্নের সৌরযান

সঞ্চয় করুন
সঞ্চয়ের দিকে নজর দিন শুরু থেকে। এখন সঞ্চয়ের অনেক পথ।
গৃহিণীদের জন্য রেকারিংয়ে টাকা জমানো সবচেয়ে সহজ এবং সুবিধাজনক। প্রত্যেক ব্যাঙ্ক এই সুবিধা দেয়। ব্যাঙ্ক নিজেই মাসের গোড়ায় নির্দিষ্ট টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিয়ে জমা করে দেয় রেকারিং অ্যাকাউন্টে। সেই অঙ্কটি হবে আপনার ইচ্ছেমতো।
বিভিন্ন স্কিম রয়েছে যেমন মিউচুয়াল ফান্ড। সেখানে টাকা রাখতে পারেন। বন্ড কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে পারেন। সবটাই খুব বুঝেশুনে জেনে করা জরুরি। ফিক্সড ডিপোজিট আর পেনশন স্কিম তো রয়েছেই। এখন পেনশন স্কিমেও টাকা রাখা যায়। একটা বয়সের পর থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঢুকতে শুরু করবে।
আপনার পরিবারের জন্য কোন স্বাস্থ্যবিমাটি আদর্শ হবে, সেটা ভাল করে জেনে নিন। অনেকেই ভুল করে এমন স্বাস্থ্যবিমা কিনে ফেলেন, যাতে অনেক টাকা খরচ হলেও ঠিক প্রয়োজনমতো পরিষেবাটি পাওয়া যায় না। তাই বিমা কেনার আগে বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।

Latest article